দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় শোক প্রকাশ করেন তিনি।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন স্বনামধন্য প্রকৌশলী হিসেবে তিনি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ চলমান নানা উন্নয়ন প্রকল্পে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের নেতৃত্বদানকারী এই গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী মঙ্গলবার ভোররাতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। আজ বাদ জোহর জানাজা শেষে জামিলুর রেজা চৌধুরীকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান তার ভাগনে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জামিলুর রেজা চৌধুরী মৃত্যু পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
একুশে পদক পাওয়া এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ২০১৮ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে যেসব বড় বড় ভৌত অবকাঠামো হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোতেই কোনো না কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করা এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
১৯৯৩ সালে যাদের হাত দিয়ে বাংলাদেশের ইমারত বিধি তৈরি হয়েছিল, জামিলুর রেজা চৌধুরী তাদের একজন।
১৯৪৩ সালের ১৫ নভেম্বর সিলেট শহরে প্রকৌশলী আবিদ রেজা চৌধুরী ও হায়াতুন নেছা চৌধুরীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
মৃত্যুকালে জামিলুর রেজা চৌধুরী স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী, মেয়ে কারিশমা ফারহিন চৌধুরী, ছেলে কাশিফ রেজা চৌধুরীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন