[pl_row]
[pl_col col=12]
[pl_text]
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে বিশ্বের অনেক প্রথা, ঐতিহ্য ভাঙছে। আজ ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে ছিল প্রধানমন্ত্রীকে সাপ্তাহিক প্রশ্ন করার দিন। কিন্তু করোনা-আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে হাজির থাকতে পারেননি। এই ঘটনা ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আজ হাউস অব কমন্স ছিল কার্যত ফাঁকা। বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট কমার লক্ষণ নেই। মৃত্যু মিছিল ও সংক্রমণের ধারা অব্যাহত।
হাউস অব কমন্সে আজ হাতে গোনা কয়েক জন এমপি উপস্থিত ছিলেন। অনেক জনপ্রতিনিধিই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। বরিসের অনুপস্থিতিতে আজ এমপিদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিদেশমন্ত্রী ডমিনিক র্যাব। দেশের করোনা পরিস্থিতি সরকার কী ভাবে মোকাবিলা করছে, তা সবিস্তারে জানান তিনি। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে পিপিই-সহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে বিপুল পরিমাণ পিপিই প্রস্তুত করা সব দেশের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়।’’ তিনি জানান, ব্রিটেনে ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা হবে। ঠিক করা হয়েছে চলতি মাসের শেষের দিকে দিনে এক লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা হবে। তিনি জানান, বিদেশে আটকে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশে ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
একটু-একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইউরোপ, আমেরিকার একাংশ। ছোট ছোট দোকানপাট খুলেছে বার্লিনে। ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতেও কড়াকড়ি কমানো হয়েছে। ফ্রান্সে একটি ফুডচেন সংস্থা খাবার পরিবেশন শুরু করেছে। আমেরিকারও কিছু প্রদেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টায়। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যে এখনও দূরের কথা, তা মেনে নিচ্ছেন ব্যবসায়ী কিংবা গ্রাহকেরা। কাজ হারানোর দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে মানুষকে। কিন্তু যে সব এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অল্প করে শুরু হয়েছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন লোকজন। জর্জিয়ার সাভানায় যেমন জিম, সেলুন খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন গভর্নর। ইটালি, স্পেন, চিন কিংবা আমেরিকার নিউ ইয়র্কের মতো হটস্পট হয়ে ওঠা দেশ বা প্রদেশে এখন দৈনিক মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে। নতুন করে সংক্রমণও কম হচ্ছে।
[/pl_text]
[/pl_col]
[/pl_row]