#২য়_পর্ব
এ্যাঁ !! আমার মাথায় বল দিয়ে কে মারলো? বলে সে ভয়ে আমাদের দিকে এগুতো লাগতেই আবার তাকে বল দিয়ে কে মারলো, ঐরুমে আমরা ৫জন ছাড়া কেউ নেই তার মাঝে সবাই সোফায় বসে টিভি দেখছি, ছেলেকে বল দিয়ে মারার মতো কেউ নেই, আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা কিন্তু মেজো ছেলে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ভয়ে আমাদের মাঝখানে এসে বসলো, তার ভয় পাওয়া দেখে আমরা সবাই হো হো করে হাসছি, কিন্তু আমার মনের শংকা গেলোনা, হাসার কারন একটাই !
যাতে বাচ্চারা ভয় পেয়ে না যায়, আর এখানে থাকতে না চায়, তখন আরেকটা ঝামেলায় পড়তে হবে. কারন বাচ্চাদের স্কুল সবকিছুই পাশে ছিল, আগের বাসা থেকেও তেমন দূর না, দোকানপাট সব কিছুই কাছে, তাছাড়া এসবের উপর ভিত্তি করে কাউন্সিলে বললেও তারা আমাকে পাগল ভাববে , তখন আরেক বিপদ এসে পড়বে, যাই হোক কিছু সময় পর আমি স্বাভাবিক আচরন করা শুরু করলাম, বাচ্চাদের নিয়ে পিছনের গার্ডেনে খেলাধূলার জিনিষ এবং ছোট ইনফ্ল্যাটেবল বাথ বসিয়ে দিলাম যাতে তারা পানি নিয়ে খেলতে পারে, বেশ খেলাঘূলা করলো আমিও রান্না শেষ করে ওদের নিয়ে পাশের পার্কে গেলাম, সাথে এরিয়্যাটাকেও চেনা হলো, বেশ অনেকক্ষন খেলাধূলা করে সন্ধ্যার আগে এসে দরজা খুলতে গিয়ে সেই একই সমস্যা আবার!!!! কোনোভাবেই দরজা খুলছেনা, তখন পিছনের গার্ডেনের দিকে গিয়ে চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু কোনোভাবেই পারছিনা, বিকাল ৫টার উপর হয়ে গেছে , স্টেট এজেন্টও বন্ধ যে তাদের বলবো এসে দরজা খুলে দিতে, এমন সময় বড়ছেলে পিছনের একটা জানালা ফাঁক পেয়ে ঢুকে গেলো জানালা দিয়ে এবং ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলো, সেই সাথে বললো যে ভেতর থেকে সিটকেনী কে লাগিয়ে রেখেছিল!!!
আমি তো পুরাই হতভম্ব!!! কিভাবে সম্ভব? ঘরে কেউ নেই তাহলে কে লাগালো, তারপরও মনকে শক্ত করে বাচ্চাদের বললাম হয়তো বাতাসে লেগে গেছে এরকম বলে তাদের মনের ভয় তাড়ালাম, কিন্তু আমি জানি এরকম সিটকানী কোনোভাবেই বাতাসে লাগার কথা না, যাইহোক সে রাতে খেয়ে দেয়ে আবারও যার যার রুমে ঘুমাতে গেলাম, বাচ্চারা শুয়ে পড়েছে, আমার ঘুম আসছেনা, তখনও ফেইসবুক চালানো আমি শিখিনি, ফোনে সেই পুরানো ব্রিক্স গেইম খেলছি, রাত ১২টা তখনো হয়নি , বাচ্চাদের একজন একজন করে ঘুম ভাঙ্গছে আর ঘুম ঘুম চোখে টযলেটে যাচ্ছে একজন একজন করে , মনে হচ্ছে ওদের যেনো কেউ ডেকে তুলছে, এভাবে সবাই টয়লেট শেষ করে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলো
রাত ১২টা বা তার একটু পর হবে আবারও……….
চলবে………..
লেখিকা: ফাতেমা ফেরদৌস #রেসিম