দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সেক্রেটারি কেটি মিলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক পরিচারকের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই নিয়ে গত দুদিনে হোয়াইট হাউজে দুজন কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস কেটি মিলারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারের স্ত্রী। কেটি মিলার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে কর্মরত।
খবরে বলা হয়েছে, কেটির দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা আইওয়ার উদ্দেশে যাত্রার অপেক্ষায় থাকা পেন্সের বিমান এয়ার ফোর্স টু থেকে তার ছয় সহযোগীকে নামিয়ে আনেন।
তবে সহযোগী আক্রান্ত হলেও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, দুই দিনের ব্যবধানে দুই কর্মীর কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় হোয়াইট হাউসে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রতিদিনই ট্রাম্প ও পেন্সের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, ‘প্রেসিডেন্টের সুরক্ষায় সতর্কতার সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কেটি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে তার করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা হয়েছিল; তখন ভালোই ছিলেন। হঠাৎ করে আজ ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।’
হোয়াইট হাউসে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘যা আপনি করতে পারেন, সতর্ক থাকতে পারেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।’
ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস শনিবার সকাল পর্যন্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই ৭৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও এখন ১৩ লাখ ছুঁইছুঁই। মৃত্যুর মিছিল বন্ধ না হলেও অর্থনীতি সচলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এরই মধ্যে নানান বিধিনিষেধ শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।