প্রত্যয় আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কবে নিউইয়র্ক খুলে দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছেন নগরের নাগরিকেরা। নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, ‘অলৌকিক কিছু না ঘটলে আমরা জুন মাসের দিকেই যাচ্ছি।’ নগরী এখনো খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় বলে মেয়র বলছেন।
পরিস্থিতির ক্রমাগত উন্নতি অব্যাহত থাকলে জুন মাসের প্রথম দিকে নগরী খুলে দেওয়ার চিন্তা করা যেতে পারে।নিউইয়র্ক নগরের হাসপাতালে ভর্তি ও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। নগরের এক হাজারের বেশি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা বর্ধিত করা হচ্ছে। জরুরি চিকিৎসাসরঞ্জাম দিয়ে এসব ক্লিনিকে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। ১৮ মে থেকে এক সপ্তাহের জন্য নগরের বিকল্প গাড়ি পার্কিং চালু হবে। এর পরের দুই সপ্তাহের জন্য আবার পার্কিং বন্ধ থাকবে বলে মেয়র জানিয়েছেন।
রাজ্যের গভর্নর বলেছেন, সাতটি বিষয়ে নজরে রেখে রাজ্যের কোনো কোনো অংশ ১৫ জুনের পর থেকেই খোলার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।তবে অঙ্গরাজ্য খুলে দেওয়ার আগে যেসব বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হচ্ছে টানা ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বা টানা তিন দিন গড়ে ১৫ জনের কম হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে টানা ১৪ দিন মৃত বক্তির সংখ্যা বা তিন দিনে গড়ে পাঁচটি মৃত্যু। প্রতি ১০০ নাগরিকের মধ্যে সর্বোচ্চ দুজনের হাসপাতালে ভর্তি, তিন দিনের গড়। হাসপাতালে ৩০ শতাংশ বেড খালি, আইসিইউতে ৩০ শতাংশ বেড খালি, ১ হাজার নাগরিকের মধ্যে ৩০ জন কন্টাক্ট ট্রেসারের পরীক্ষাসাপেক্ষে এবং এই পরীক্ষার সাত দিনের গড় ফলাফল।
এসব তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রথম ধাপে খোলা হবে কনস্ট্রাকশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, হোলসেল সাপ্লাই চেইন, রিটেইল কার্ব সাইড পিকআপ, কৃষি, বনায়ন ও ফিশিং।
দ্বিতীয় ধাপে খুলে দেওয়ার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পেশাগত সেবা, ফাইন্যান্স, বিমা, প্রশাসনিক সাপোর্ট, রিয়েল এস্টেট, রেন্টাল, লিজিং সার্ভিস। তৃতীয় ধাপে খুলে দেওয়া হবে রেস্টুরেন্ট, ফুড সার্ভিস, হোটেল, মোটেল সেবা। চতুর্থ ধাপে রয়েছে আর্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, শিক্ষা ও স্কুল সিস্টেম।সবকিছুই এখনো পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এসব নিয়ে রাজ্য ও নগর সরকারের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানা যাবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো