দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক:আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হবে’ বাড়ির মালিকের এমন হুমকি ও চাপের মুখে লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে কুমিল্লায় এসেছেন কার্তিক দাস (৩৫) নামে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি।
রবিবার মধ্যরাতে কুমিল্লা প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গোহারুয়া ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখেছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলা সদরের কলাতলী এলাকায় একটি কোম্পানিতে শ্রমিক পদে কাজ করতেন কার্তিক। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণায় কারখানা বন্ধ হলে গত ১২ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ আঙ্গারপাড়া দাসবাড়িতে ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের কাছে চলে আসেন। এমন অবস্থায় তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় পরীক্ষার করলে ১৬ এপ্রিল তার পজেটিভ আসে এবং স্থানীয় প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন করে দেয়।
কার্তিক দাসের অভিযোগ, এরপর বাড়ির মালিক বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেয় এবং বাড়ি না ছাড়লে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় বাড়ির মালিক। এতে তিনি নিরুপায় হয়ে শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি চালের ট্রাক যোগে কুমিল্লার লাকসামে চলে আসেন। পরে তিনি লাকসাম রেললাইন হয়ে হেঁটে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়ে কার্তিকের নম্বরে আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করি। তার দ্বারা যেন সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য তাকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসককে অবহিত করি এবং নাঙ্গলকোট থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করি।’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার বলেন, ‘পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামিয়া সাইফুল ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ আমরা রেলস্টেশনে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।’