আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কানাডার কিউবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর মনট্রিল। আর এই শহরে বসাবাস করেন নাতালিয়া স্টেক ডসেট। তিনি পেশায় একজন নার্স বা সেবিকা। মনট্রিল শহরের নার্সদের যে অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে নাতালিয়া সেই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
কিউবেক শহরে বয়স্কদের আবাসগুলো কীভাবে করোনার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তা বর্ণনা করেছে নাতালিয়া।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে নাতালিয়া জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রোগীদের সেবা দিতে তিনি কিউবেক প্রদেশের মনট্রিলে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মনট্রিলে যেখানে থাকেন সেখানে ১৮০টি পরিবারের একটি বৃদ্ধাশ্রম গ্রাম রয়েছে। সেই গ্রামের আবহাওয়া না গরম, না ঠান্ডা।
নাতালিয়া বলেন, আপনি যদি সেখানে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে সে বলতে পারবে যে, সেখানে কী ঘটতে যাচ্ছে তা সে জানে। আমরা কোনো বিশেষজ্ঞ পাইনি। কোনো হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়নি। কোনো উপকরণ দেয়া হয়নি। আমরা কিছুই পায়নি। আগে যেমন ছিলাম তেমনই রাখা হয়েছিল আমাদের। ফলে যখন করোনাভাইরাস আঘাত করলো তখন এটি দ্রুত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লো।
কিউবেক প্রদেশে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৩ জনের। যারা মারা গেছে তাদের প্রায় সবারই বয়স ৬০ বছরের উপরে।
কিউবেক শহরের এই ঘটনার ফলে সেখানে পদ্ধতিগত সমস্যা, স্বাস্থ্য খাতে দৈন্যদশ, যথেষ্ট অর্থের অভাব ও স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্কটের চিত্র ফুটে উঠেছে।
এই শহরে মৃতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ মানুষ হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা। তারা নিজেদের ঘরেই মারা গেছে। এই বৃদ্ধাশ্রমগুলো কোনো হোটেল বা হোস্টেল নয়। এটি এক একটি সাধারণ বাড়ি। কিন্তু সেখানে শুধু বৃদ্ধরা থাকেন। এখানে হাসপাতালে মারা গেছে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ।
দৈনিক প্রত্যয়/ আন্তর্জাতিক/ জাহিরুল মিলন