আল-আমিন হাছান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা মইশামুরী চরমাথা থেকে মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যালয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি তিস্তানদী থেকে পানির প্রবাহে ভেঙে ভেঙে গেছে। জনপ্রতিনিধির সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে কিছুটা তিস্তা নদীর শক্তিশালী স্রোত নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ব্যয় হ্রাস করতে স্থানীয়রা ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু পার হওয়ার জন্য সড়ক নির্মাণ করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
শত শত স্থানীয় লোকেরা যতটা সম্ভব নিজস্ব টাকা জোগাড় করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করেছে। বাড়ি ঘরগুলি পানির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে নদীর তীরের লোকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাস্তা আরো উন্নত ভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য এখন কার্যকর স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কাকিনা ইউনিয়নের মইশামুড়ি গ্রামগুলি মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
এই অঞ্চলগুলিতে তিস্তা নদীর আগ্রাসনের কারণে বহু লোক জমি ও ফসল হারিয়েছে। তারা শরণার্থী হয়ে গেছে এবং অমানবিক জীবনে জীবনযাপন করছে।
মইশামুরী গ্রামের সেজাব উদ্দিন বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় আছি। সরকার রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু আমাদের তা নেই। আমাদের সব শেষ। যদিও আমারা দাদার কালীন বাড়িতে আমার কয়েক একর জমি ছিল, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমি একটি কঠিন দিনে রাত কাটিয়েছি।
কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন যে আমার জ্ঞানে কেউ আসেনি এবং আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা।
কালীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমরা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলব এবং বরাদ্দ দেব।