ওয়েব ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, সেটাই বলতে পারছেন না পোলিং এজেন্টরা। জানেন না প্রার্থীর দলের নামও। নৌকা প্রতীক ছাড়া বাকি প্রায় সব প্রার্থীর এজেন্টদেরই এ অবস্থা। রোববার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা-৮ ও ঢাকা-১৪ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা-৮ আসনের আটটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে রয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের এজেন্টরা।
এসময় ফুলের মালার এজেন্টদের জিজ্ঞেস করলে তাদের বেশিরভাগই প্রার্থীর নাম বলতে পারেননি। কেউ কার্ড দেখে প্রার্থীর নাম বললেও পারেননি তার দলের নাম জানাতে।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ২ নং বুথে দায়িত্ব পালন করছেন ফুলের মালার এজেন্ট এহসান। তিনি প্রার্থীর নাম বলতে পারলেও দলের নাম বলেন খেলাফত মজলিস। পরে ভালোভাবে দেখার জন্য নিজের পকেটে থাকা কাগজপত্র খুঁজতে থাকেন।
উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের ফুলের মালার এজেন্ট তানজিলের কাছে প্রার্থী ও দলের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগের এক নেতা পাঠিয়েছেন।
ফুলের মালার আরেক এজেন্ট আনিছাকে জিজ্ঞেস করলেও তিনি দলের নাম বলতে পারেননি।
ঢাকা-১৪ আসনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়। তাদের অবস্থাও ঢাকা-৮ আসনের ফুলের মালা প্রতীকের এজেন্টদের মতো।
মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মশাল মার্কার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন নাহিদ হাসান পিয়াল। কোন প্রতীকের এজেন্ট জিজ্ঞেস করলে তিনি মশাল মার্কা বলে দাবি করেন। তবে প্রার্থী ও প্রার্থীর দলের নাম জিজ্ঞেস করলে তার উত্তর দিতে পারেননি নাহিদ। তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেন।
এদিন বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও একই অবস্থা দেখা গেছে।