ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীীতে ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে এ বছর ৫৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলার পুজা মন্ডপগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, এখন চলছে প্রতিমা তৈরী এবং রং করাসহ সাজানোর শেষ মূহুর্তের কাজ। শিল্পীর হাতে রং-তুলির আঁচর। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশ-কাঠ, খড়-সুতলি, আর কাদামাটি দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। পূজার আর মাত্র কয়েক কয়েকদিন বাকি থাকায় এখন দিন-রাত অনেকটা ব্যস্তসময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপ তৈরী করা হয়েছে ঢেউটিনের ছাউনি ও ঘেরা দিয়ে। ভেতরে নানা রংয়ের কাপড়ের ডেকোরেশন। তার মাঝখানে প্রতিমা বসানোর আসন সাজানো হচ্ছে। মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে বিশ্ব শান্তির কল্যাণে সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজায় দেবীকে আসনে রাখা হবে বলে জানায় তারা।
প্রতিমা কারিগর শ্রী খোকন চন্দ্র মালাকার জানায়, অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রতিমাগুলো তৈরী করা হয়েছে। এখন রং ও সাজানোর কাজ করছেন তারা। রং তুলির বর্ণিল রংয়ের সাথে জামা কাপড় দেবীর গায়ে পড়িয়ে দিয়ে গলায় ও হাতে দেয়া হবে দামী গহনা। লাগানো হচ্ছে নানা রংয়ের বৈদ্যুতিক বাতি।
শিল্পী সুজিত মালাকার নামের একজন প্রতিমা কারিগর জানান, মাসখানেক আগে থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন তারা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা সভাপতি নির্মল কুমার মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক দিলিপ চন্দ্র সাহা জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে মোট ৫৯টি মন্ডপে আনন্দ ঘন উৎসবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, পূজার সময় উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন জানান, দেশে অতীতের যে কোন সমায়ের তুলনায় করোনাভাইরাসের চলমান এই সময় সরকার নির্দেশিত বিধি-নিষেধ সময়সূচী মোতাবেক সিদ্ধান্তসমূহ মেনে চলার মধ্যদিয়ে পূজার্চনা পালন হবে। তারপরও সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারেন সেজন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়োজিত রয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, প্রতি বছরের মত এ বছরও শারদীয় দুর্গোৎসব সকল ক্রিয়াকর্ম যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও আনসার ভিডিপি সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা নিয়োাজিত থাকবে।