আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইসলামিক সংস্থা দুনিয়া মেলায়েউ দুনিয়া ইসলাম (ডিএমডিআই)।
রোববার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে ডিএমডিআই নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা উচিত।
গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডিএমডিআই সভাপতি তুন মোহাম্মদ আলী রুস্তম বলেছেন, জাতিসংঘ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অবিলম্বে ইসরায়েলকে এই নৃশংসতা বন্ধ করার দাবি জানাতে হবে। যাতে ফিলিস্তিনিরা তাদের দেশে শান্তিতে বাস করতে পারে।
ডিএমডিআই দাবি করেছে, অবিলম্বে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে যাতে ইসরায়েল মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে একটি শিক্ষা নিতে পারে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাঁচতে পারে। এছাড়া ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্বমোড়লদেরও ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেছেন ডিএমডিআই সভাপতি।
এদিকে জেরুজালেম ও গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি। বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের উদ্যোগে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওআইসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
ইসরায়েলের হাতে নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে বলে সরাসরি ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বৈরী আচরণ থেকে রক্ষার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। শনিবার (১৫ মে) এক বিশেষ বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন এবং তার দেশের জনগণের আন্দোলনকে রাজনীতি, অর্থনীতি ও নৈতিকতার দিক দিয়ে সর্বদা সমর্থন দিয়ে আসছে মালয়েশিয়া।
মুহিউদ্দিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য হিউম্যানিস্ট ট্রাস্ট ফান্ডের (একেএআরপি) মাধ্যমে গত বছর আল-আকসা মসজিদে ১০ হাজার মার্কিন ডলার (৪১ হাজার ২৫০ রিঙ্গিত) সহায়তা প্রদান করেছে মালয়েশিয়া।
এছাড়াও গত বছরের ১০ মে জর্ডানের একটি বিশেষ বিমানের মাধ্যমে এক মিলিয়ন ফেস মাস্ক, ৫০০ ফেসশিল্ড এবং পাঁচ লাখ রাবার গ্লাভসসহ বিভিন্ন চিকিৎসাপণ্য দিয়ে ফিলিস্তিনকে সহায়তা করা হয়েছে।