আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির শেষ তিন দিনে দু’পক্ষের লড়াই এমন চরমে উঠেছে তাতে মনে করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের যুদ্ধের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে যাবে এ ধ্বংসযজ্ঞ। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যানটজ জানিয়েছেন, দীর্ঘকালীন শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নির্মূল করার কাজ করবে দেশ।
এদিকে, ইজরায়েলের রকেট হামলায় হামাসের প্রথম সারির ১০ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা। উল্টো দিকে হামলা চালিয়েছে হামাসও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত সোমবার (১০ মে) থেকে গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৮ শিশু ও ৮ নারী রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৩০ জন।
এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করতে রাজি আছে। প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে ফিলিস্তিনে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ঈদুল ফিতরের দিনেও ইসরায়েলি বোমারু বিমানগুলোর গাজা উপত্যকায় মুহুর্মুহু বোমা হামলা অব্যাহত ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৭ জুলাই মধ্যরাতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আক্রমণ করে। ইসরায়েলি সরকার সেই হামলাকে গাজা থেকে আসা রকেটের পাল্টা জবাব হিসেবে দাবি করে।
তিন ইসরায়েলি কিশোর হত্যাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ইসরায়েলি সরকার হামাসকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে। কিন্তু হামাস এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
যদিও এই ঘটনার জন্য কয়েকশোর অধিক ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরে আটক করা হয়। এই ঘটনার জের ধরে কয়েকজন কট্টর ইহুদি আবু খাদির নামের এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরকে হত্যা করে।
এই আক্রমণের ফলে ইসরায়েলের কেউ মারা না গেলেও; ২ হাজার ১৪৩ এর অধিক ফিলিস্তিনি মারা যায় যার তিন চতুর্থাংশই বেসামরিক ব্যক্তি।