দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন পরিস্থিতি ও সাধারণ ছুটি উঠিয়ে নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। ঈদ পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
করোনার কারণে দেশে টানা প্রায় ২ মাস ‘লকডাউন’র কারণে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি দফায় দফায় বাড়ালেও ‘লকডাউন’ কিছুটা শিথিল করেছে সরকার।
সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন মন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনায় সংক্রমণও বাড়ছে, আবার সব কিছু বন্ধের কারণে মানুষের জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর জুন থেকে ছুটি ও লকডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানিয়েছেন। যদিও সব কিছু নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার উপর।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, ঈদ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে লকডাউন উঠানো বা না উঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঈদ পর্যন্ত পরিস্থিতি কি হয় তার উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রায় একই কথা বলছেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আরেক দফায় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৭ম দফায় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এই সাধারণ ছুটি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন