এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৫৯,৮০০ জন এবং মারা গেছে ৪২,৩৪০ জন। অন্যদিকে চীনে মারা গেছেন মোট ৩ হাজার ৩১২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮১,৫৫৪ জন।
এদিকে, চীনের স্থানীয়রা মনে করছেন, কম করে ৪২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন কেবল উহানেই। কিন্তু চীনের প্রশাসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের সঠিক সংখ্যা জানায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে চীনের বিরুদ্ধে মহামারী গোপন করার অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। তাদের দাবি, চীন সঠিক সময়ে ভাইরাসের কথা জানালে সারা বিশ্বে হয়তো এত মানুষ মারা যেতেন না।
এবার চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এখনও করোনা মহামারী গোপন করছে। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর যে সংখ্যা দেখিয়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চীনে লকডাউন ওঠার পরও বহু জায়গায় মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, প্রায় প্রতিদিন পাঁচ হাজার শবদেহ সৎকার করানো হয়েছে। গণহারে মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছে চীনে। প্রশাসন লুকিয়ে মৃতদেহ পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রমাণভিত্তিক তথ্য হাজির করতে পারেনি আরএফএ। তবে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট পেশ করেছে তারা।
শুধুমাত্র উহান শহরেই ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিল ডেইলি মেইল।
যদিও চীন এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, তিন হাজার তিনশো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যদিও উহানের স্থানীয় অনেকের দাবি, গত ১২ দিনে অন্তত ৪২ হাজার মৃতদেহ সৎকার হয়েছে। ৫ এপ্রিল কিং মিং উৎসব চীনে। তার আগে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তার আগে প্রশাসনের দিকে তোপ দাগতে শুরু করেছে উহানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।