দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চোখে পড়েছে কর্মীদের ঢল। গণপরিবহন না থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনে নিরাপদ দূরত্ব না মেনেই যাতায়াত করছেন অনেকে। চাকরি বাঁচাতে ছুটে আসাদের ছাড় দিতে বাধ্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরে চেকপোস্টে আটকানো হয় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি। দরজা খুলতেই দেখা গেল গাদাগাদি করে বসে একদল পোশাক শ্রমিক।
তারা জানান ফ্যাক্টরি যেহেতু খোলা তাদের কাজ করতে হবে। চাকরি চলে গেলে তাদের সমস্যা হবে।
একই চিত্র ঢাকার আরেক প্রবেশপথ গাবতলীতেও। চাকরি বাঁচাতে নানা উপায়ে ঢাকা পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা।
একজন বলেন, আমাদের অফিস খোলা। ২ তারিখের মধ্যে না গেলে চাকরি থাকবে না।
ছাড় দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। পণ্যবাহী কিংবা জরুরি সেবার গাড়িতে যাত্রী পরিবহনের চিত্রও চোখে পড়েছে। মহাসড়ক দখল করে আছে রিকশা, ভ্যান আর অটোরিকশা।
তবে এর মধ্যেও অযাচিত গাড়ি কিংবা ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
জীবন না চাকরি কোনটা বাঁচাবে তারা। এ দুই সংকট মাথায় রেখেও যারা শুধু পেটের তাগিদে কাজে আসছেন সেসব গার্মেন্টস কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবেতো?
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন