1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

টুপি পল্লীতে হাহাকার রূপগঞ্জের টুপি শিল্পের বাজার ধ্বস ঃ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৯৬ Time View

দেশে নেই চাহিদা, বাজার নেই মধ্যপ্রাচ্যেও

মুরাদ হাসান, রূপগঞ্জ ঃ রমজান আসলেই টুপির চাহিদা বেড়ে যায়। দেশ বিদেশে টুপির চাহিদা মেটাতে টুপি তৈরির কারীগররাও রমজানের কয়েক মাস আগে থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ধম ফালানোর ফুসরত পান না তারা। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে রমজানের এক মাস আগে থেকেই সারা দেশে লকডাউন চলছে। ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছু বন্ধ। অসহায় হয়ে মানুষ ঘরে বসে আছে।

টুপি তৈরি করার উপকরণও সংগ্রহ করতে পারেনি মহাজনরা। আবার যা ও কিছু করেছে তা বিক্রি নিয়ে মহাসঙ্কটে মহাজনরা । টুপি পল্লীগুলোতে চলছে হাহাকার। প্রতিবছর রমজান মাস এগিয়ে আসলেই রূপগঞ্জের নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি টুপি দেশের গন্ডি পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে চাহিদা মেটাতো। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। করোনার কারণে টুপির চাহিদা দেশের বাজারে নেই, নেই মধ্যপ্রাচ্যেও। ফলে টুপি পল্লীর কারিগরদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। তবুও এক বুক আশা নিয়ে কারিগরেরা টুপি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। করোনার প্রভাব না থাকলে এবার অর্ধ কোটি টাকার টুপির চাহিদা ছিলো বলে মহাজনরা জানায়।

সরেজমিনে টুপি পল্লীতে ঘুরে কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপগঞ্জের কারিগরদের হাতে তৈরি করা টুপি দেশের বাজার ছাড়িয়ে ওমান,সৌদি,কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে যায়। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১৬ গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ নারী ঘরে বসে নিপুন হাতে টুপি তৈরি করে আসছে। টুপির মহাজনদের মতে, এবার রমজানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার টুপি বিদেশে যাওয়ার সম্ভবনা ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসায় ধ্বস নামার সম্ভবনা রয়েছে। টুপি তৈরির কারিগরের বলেন, টুপি বিক্রি হবে কিনা জানিনা। তবুও বানাচ্ছি। মহাজনরা সুতা দিয়ে গেছে। মহাজনরা বিক্রি করতে পারলে টাকা পাবো। আর না হলেতো কথাই নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাসকে সামনে রেখে রূপগঞ্জের টুপি পল্লীতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কারিগরেরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী, ছাতিয়ান, হনিরা,পাড়াগাও,মাঝিনা, নাওড়া, পূর্বগ্রাম, বড়ালু, পশ্চিমগাঁও, পূর্ব চনপাড়া, ভাওলিয়াপাড়া, কেওঢালা, খামারপাড়া, তালাশকুর, নগরপাড়াসহ ১৪ টি গ্রামের প্রায় কয়েক’শ নারী কারিগর প্রতিনিয়ত টুপি তৈরী করে যাচ্ছে। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের এ গ্রামগুলো এখন এক কর্মমূখর জনপদ। অন্যদিকে রাজধানীর কোলঘেঁষা ডেমরা থানার নড়াইপুর, মীরপাড়া, রাজাখালী, কামার পাড়া, আমুলিয়া, ঠুলঠুলিয়া, দূর্গাপুর, খলাপাড়া, ধিৎপুর প্রায় ১১টি গ্রামেও চলছে টুপি তৈরীর কাজ।

উল্যাব গ্রামের টুপি কারিগর মমতাজ খাতুন বলেন, প্রতি বছরইতো রোজা আইলে ব্যবসা আমাগো ভালাই অয়। টুপির আয় দিয়া ঈদের খরচ অইয়া যায়। তয় এইবার কি অইবো আল্লায় জানে। ছাতিয়ান গ্রামের কারিগর কদবানু বেগম বলেন, এইবারতো মনে অয় টুপি বেচা অইবোনা। করোনা না কি জানি আইছে, হের কারণেতো নামাজই বন্ধ। আমাগো কপালডাও শেষ। বড়ালু গ্রামের টুপির কারিগর হালেমা খাতুন বলেন, গত বছর অনেক অর্ডার আছিলো। এইবার মহাজন কইছিলো টুপি বেশি লাগবো। ১৫ দিন আগে মহাজন কইছে করোনার লেইগ্যা ব্যবসা মন্দা। বেশি বানান লাগবোনা। গত বছর ১৫ দিনে আমি ৩৫০ টুপি বানাইছি। এইবার মাত্র ১৩০ টা বানাইছি।

ইছাখালী গ্রামের রাবেয়া খাতুন বলেন, খারাপ আছিলাম না ভাই। তয় এইবার মনে অয় খারাপ যাইবো। কথা হয় পাড়গাওঁ এলাকার মহাজন আব্দুল মতিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি বছর রমজান মাসের আগে এখানকার হাতে তৈরি করা সূতি টুপির চাহিদা থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। এছাড়া সৌদি, ওমান, কুয়েতে এখানকার টুপির চাহিদা রয়েছে। তবে এইবার ব্যবসা খুব মন্দা। করোনার কারণে অর্ডার নাই তেমন। করোনা না আইলে এইবার অর্ধ কোটি টাকার উপড়ে টুপি বিক্রি হইতো। ###
মুরাদ হাসান
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..