স্পোর্টস ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জাপানের সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
করোনার কারণে স্থগিত হয়েছিল অলিম্পিক-২০২০ এর আসর। চলতি বছর জুলাইয়ের ২৩ তারিখে পর্দা ওঠার কথা। তবে এখনও শঙ্কা কাটেনি। জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দফায় দফায় আসর বাতিলের আন্দোলন করেছেন সাধারণ নাগরিক।
সেখানেই শেষ নয়। আইওসি আর জাপান অলিম্পিক কমিটি বরাবরই জোর গলায় বলে আসছে মাঠে গড়াবে মেগা ইভেন্ট। এরপর আইনজীবীর করা পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন কয়েক লাখ জাপানিজ। তাতেই প্রথমবারের মতো নড়েচড়ে বসেছিল আয়োজক কমিটি।
তবে বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দেশ নিজেদের প্রস্তুতি ঠিকই নিচ্ছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাপানকে ভ্রমণ তালিকার লাল ঘরে রাখায় মার্কিন অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। অবশ্য হোয়াইট হাউসের একটা বক্তব্যে স্বস্তি পেতে পারে টোকিও। এই আসরের ব্যাপারে ইতিবাচক বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ‘অলিম্পিক নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। গত বছর আসর পেছানোর সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সম্মান ছিল। আমরা জানি জাপান সরকার ও আইওসি এই গ্রীষ্মে আয়োজন সম্পন্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই তারা এই কাজটা করতে চাচ্ছে।’
জাপানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অ্যাথলিট আর ইভেন্টের সঙ্গে জড়িতদের জাপান সফর নিয়ে কোনো বাঁধা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ক্রীড়ার ব্যাপারে শিথিল করা হবে কোভিড নীতিমালাও।
জেন সাকি বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট সবসময় অ্যাথলিটদের পাশে আছেন। আমি জানাতে চাই, যে অ্যাথলিটরা অলিম্পিকের জন্য ভ্রমণ করবেন তাদের জন্য কোভিড প্রটোকল শিথিল করা হবে। আর আয়োজক জাপানও নিরাপত্তার খাতিরে সেখানে ভ্রমণকারীদের একটা নিয়ন্ত্রিত সীমারেখার মধ্যে রাখবেন।’
সবকিছু ঠিক থাকলে আর ৫৭ দিন পর পর্দা উঠবে টোকিও অলিম্পিকের।