বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: অল্প খরচে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেও আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে এ বছর মিষ্টি কুমড়ার ফলন তেমন ভাল হয়নি। আকারে ছোট এসব কুমড়ার চাহিদা তেমন একটা না থাকায় কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন না কৃষক।
আলু তুলে নেওয়ার পর একই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করে এ জেলার কৃষকরা। তাতে সারের চাহিদা তেমন একটা থাকেনা। অন্যান্য পরিচর্যা ও সামান্য স্প্রে ও সেচ দিলেই কুমড়ার আবাদ পাওয়া যায় ভাল কিন্তু এ বছর ভাল বীজ না পাওয়ায় এবং আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে মাঠে কুমড়ার আকার বড় হয়নি। এ কারণে চাহিদা না থাকায় এ জেলার চাষীরা কুমড়া নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। কুমড়া বিক্রি করে কৃষকদের যেখানে ফুরফুরে মেজাজ হওয়ার কথা এ বছর অবস্থা হয়েছে তার উল্টো।
এদিকে বর্ষা মওসুমে জমিতে পানি লাগায় জমিতে রাখা যাচ্ছেনা মিষ্টি কুমড়া। এ অবস্থায় জমি থেকে তুলে তড়িঘড়ি করে তুলে নিতে হচ্ছে কুমড়া। যদিও স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই জেলার কুমড়া পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ৯৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়। উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ১২শ ১৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছিলো। যার মধ্যে উৎপাদন হয়েছিলো ২৮ হাজার ২৬ মেট্রিকটন।
কৃষি অধিদপ্তরের এই তথ্য মতে, এবারে জেলায় কমেছে কুমড়ার আবাদ ও উৎপাদন। এরপরেও জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় পাঠানো হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া।
কৃষকরা বলছেন, বাজারের নিম্ন মানের বীজ, প্রখর রোদ ও বৃষ্টির কারণে যেমন আকারে বৃদ্ধি পায়নি কুমড়া, ঠিক তেমনি কমেছে দাম। ছোট আকারের মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা তেমন নেই। আকারে ছোট হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ব্যপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় গতবছরের তুলনায় এবার জেলায় কমেছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। এছাড়াও কৃষকেরা বাজারে কুমড়ার দাম ভালো পেলে কুমড়া চাষে আরো আগ্রহী হতো।