প্রত্যয় ডেস্ক, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:হেমন্তের শেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থাকায় ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ব্যবসায়ীরা শীতের শুরুতেই বসেছেন পসরা নিয়ে। ফুটপাতের এসব দোকানে বেচাকেনা শুরু হওয়ায় ভীড় করছেন নিম্ন আয়ের লোকজন।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে। দিনের বেলা রোদের উত্তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই শীতের হালকা ঠান্ডা পড়ে। রাতে কম্বল কিংবা কাথা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অবস্থা সম্পন্নরা ছুটছেন লেপ তোষকের দোকানে।আর নি¤œ আয়ের লোকজন আগে ভাগে শীতের জামা কাপড় সংগ্রহ করতে ছুটে যাচ্ছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে।
ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ প্রত্যয় এ জেলার শীতবস্ত্রের বড় মোকাম। এখানে কোট জ্যাকেট, সুয়েটার, ট্রাউজার ইত্যাদি বিক্রি হয়। শহরের বড়মাঠের পাশে প্রতিবছর শীতবস্ত্রের দোকান বসলেও এবার করোনাকালে কালিবাড়ি বাজারের মাছের দোকানগুলোতে সেখানে স্থানান্তর করায় এবার বিপাকে পড়েছেন শীতবস্ত্র বিক্রেতারা। এ অবস্থায় শহরের অডিটোরিয়াম বিডি হলের সামনে রাস্তায় অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেছেন অনেকে।
শীতবস্ত্র বিক্রয় করা হচ্ছে। গরীবদের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষও সুলভ মূল্যে পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে। শহরের বিপনী বিতানের চাইতে তুলনামূলক কমদামে পাওয়া যায় বলে এসব দোকানে ভীড় করছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।
ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, শীত পড়তে শুরু করায় শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে । তাই গুদামে মজুতকৃত কাপড় নিয়েই দোকান চালু করেছি আমরা।
অন্যদিকে অডিটোরিয়াম বিডিহলের সামনে পসরা নিয়ে বসা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এবার করোনা ভাইরাসের কারণে কালিবাড়ির কাঁচাবাজারের মাছের বাজার বড় মাঠের ড্রেনের উপর বসায় আমরা এবার পূর্বের জায়গায় দোকান নিয়ে বসতে পারছি না। রাস্তার ধারে দোকান নিয়ে বসায় গাড়িঘোড়া চলাচলের ধুলো-বালি দিয়ে কাপড় নষ্ট যাচ্ছে।
মেছের আলী নামে একজন ব্যবসায়ী জানান, শহরের বড়মাঠের পাশে ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকান কোথায় বসে এটা সবাই কমবেশি জানে।আমাদের জায়গায় বসছে মাছবিক্রেতারা। এখন নতুন জায়গায় বসলে ক্রেতাদের জানতে এ বছরটা চলে যাবে। কাজেই আমাদের বসার পুরানা জায়গা আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।