1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

তবুও থামছে না মানুষ

  • Update Time : শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০
  • ১৩০ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ সব আয়োজন মানুষকে গৃহবন্দী রাখার জন্য। কিন্তু এরপরেও রাস্তায় নেমে পড়ছে মানুষ। চাকরি বাঁচাতে বা অনেকটা বাধ্য হয়েই মানুষ রাস্তায় নামছে। বেশিরভাগ জীবিকার তাগিদে পরিবারের সদস্যের কথা বিবেচনা করে কাজে ফিরছেন।

তবে রাজধানীতে হয়তো ঘোরাঘুরি করা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে রাজধানীর বাইরে জেলা উপজেলাগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগে কাজ করেন খালেক উদ্দিন। তিনি গত সাত দিন হল কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের বিভাগের ৬ জন কর্মরত আছি। আমরা আমাদের কাজ অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছি। এজন্য সপ্তাহে এখন তিন দিন গেলেই হয়।

কাজে যোগ দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সামনে কী দিন আসছে আমরা কেউ জানি না তবে অনেক মানুষ যে বেকার হবে সেটা বুঝাই যাচ্ছে। এখন যদি আমরা কাজে যোগ না দেই তবে আমাদের চাকরি না থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এই চাকরি একবার চলে গেলে অন্য চাকরি খুঁজে বের করা যে কতটা কঠিন হবে সেটা বুঝাই যাচ্ছে।

‘এছাড়াও আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকা বকেয়া। এসব টাকা তুলে আনার দায়িত্ব আমাদেরই। এত টাকা মানুষের হাতে পড়ে থাকলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সেসব দিক বিবেচনা করেই আমরা কাজে যোগ দিয়েছি।’

এদিকে অনেকেই পারিবারিক কলহ থামাতে বাসা থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক পরিবারের নারী সদস্যরা আসন্ন ঈদকে ঘিরে কেনাকাটা করতে হবে এমন আবদারের জেরে অনেকে বাধ্য হচ্ছেন কেনাকাটায়। আবার অবুঝ শিশুদের কথা চিন্তা করেও মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন অনেকেই।

একাধিক শিল্প কারখানার মালিক আবদুল জব্বার বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেতন দিতে হবে। এজন্য স্বল্প পরিসরে কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছি। উপ-শহরগুলোতে চাহিদাও ভালো। লকডাউন এর আগে যেসকল পণ্য মজুদ ছিল তা বিক্রি হয়ে গেছে। আরো চাহিদা থাকায় স্বল্প পরিসরে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছি।

খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা বলছেন, সরকার যা ত্রাণ দিচ্ছে তা দিয়ে আমাদের পক্ষে চলা সম্ভব নয়। অনেকে আবার অব্যবস্থাপনার কারণে ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ফলে তাদের বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসা থেকে বের হওয়াটা সমস্যা নয়, সমস্যার জায়গা হচ্ছে অসাবধানতা। মানুষ অনেকটা নিজের অজান্তেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্বের কেউ কোনো বালাই মানছে না। এখানে মানুষ কারণে অকারণে রাস্তায় নেমে পড়ছে। আড্ডা দিচ্ছে চায়ের দোকানে ভিড় করছে। ঈদকে ঘিরে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ মার্কেটগুলোতে ভিড় করছে। এদেরকে ঠেকাতেও প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। সবকিছু মিলে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..