স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের জন্যই ডেনমার্কের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিজেদের মাঠেই ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে পড়ে ছিলেন এরিকসেন, তাতে ডেনিসদের উচিৎ ছিল অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা।
কিন্তু কিভাবে? প্রথম দুই ম্যাচে ফিনল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের কাছে হেরে যে বিদায়েরই প্রহর গুনছিল তারা? অন্যদিকে একটি করে জয় ততক্ষণে অর্জন করে ফেলেছিল রাশিয়া এবং ফিনল্যান্ড দু’দলই। তলানীতে ছিল কেবল ডেনমার্কই।
রাশিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ। তার আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এরিকসেন। সোজা চলে যান সতীর্থদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে। সেখানে গিয়ে আবেগি করে দিয়ে আসেন ডেনমার্কের বাকি ফুটবলারদের। একই সঙ্গে তাতিয়েও দিলেন।
তাতেই কোপেনহেগেনে আজ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো রাশিয়া। ৪-১ গোলে রীতিমত উড়ে গেলো রাশিয়া। দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেন উত্তাল হয়ে উঠেছিল এরিকসেন আর ডেনমার্ক স্লোগানে। এই এক জয়েই গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড সরাসরি নিশ্চিত হয়ে গেলো ডেনমার্কের।
ডেনমার্কের হয়ে গোল চারটি করেন মিকেল ড্যামসগার্ড, ইউসেফ পউলসেন, অ্যান্ড্রেস ক্রিস্টেনসেন এবং জোয়াকিম মায়েলে। রাশিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আর্তেম জিউবা।