আব্দুল্লাহ আল সানি,ধর্মপাশা সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
——————————————————————————–
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামে নিজ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়েছেন জামাই জীবন চন্দ্র দেবনাথ ( ৩২)। পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি পাশ্ববর্তী নেত্রকোনার সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নে বাহিরাউড়া গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের বাহিরাউড়া গ্রামের বাসিন্দা জীবন চন্দ্র দেবনাথ (৩২) গত সোমবার বেলা দুইটার দিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধোবালা গ্রামে বেড়াতে আসেন। ইতিমধ্যে জামাই জীবন চন্দ্র দেবনাথের নিজ এলাকায় একজন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে।তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিরাপদে থাকার জন্যে জীবন চন্দ্র দেবনাথ গত সোমবার বেলা দুইটার দিকে শ্বশুড় বাড়ি ধোবালা গ্রামে আসেন। খবর পেয়ে ওইদিন রাত আটটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ধর্মপাশা থানার একদল পুলিশ নিয়ে ধোবালা গ্রামে যান ।তাঁরা জীবন চন্দ্র দেবনাথের শ্বশুড় যোগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ (৬৫)কে বুঝিয়ে তাঁদের মেয়ে জামাইকে আলাদা একটি ঘরে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করেন। জামাই ওই বাড়িতে রাত্রি যাপন করলেও মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি ভাড়াটে মোটরসাইকেলযোগে সেখান থেকে পলায়ন করেন ।
পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, ধোবালা গ্রামে নিজ শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনের ভয়ে জামাই সেখান থেকে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় সংক্রমণরোধে শ্বশুর যোগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের পাঁচ সসদস্যের পরিবারটিকে ১৪দিনের হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনও স্যারের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে একজন গ্রাম পুলিশের সহায়তায় সেখানে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তালেব বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে উপজেলার ধোবালা গ্রামের একটি পরিবারকে ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে ওই বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়ার জন্যে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন চলাকালীন সময়টাতে ওই পরিবারটি যাতে কোনোধরণের সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়াসহ সর্বরকম সহায়তা করা হবে। আর নির্দেশ অমান্য করলে ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##