ধর্মপাশার মধ্যনগরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ
Update Time :
সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০
২৪৫
Time View
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালটিতে রাতের আঁধারে ১০টি শ্যালো মেশিন বসিয়ে এটির তলা শুকিয়ে গত বুধবার থেকে সেখানে মাছ শিকার কার্যক্রম চলে আসছে। জলমহালটির ইজারাদার স্থানীয় রংচী জনকল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি ও সাতুর গ্রামের বাসিন্দা মো.শামছুর নূর এতে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ৫ এপ্রিল রোববার বেলা দুইটার দিকে ওই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের খানিকটা পেছনে লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালটি অবস্থিত। এটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন।উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী জনকল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। নীতিমালা অনুযায়ী,জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি । এটি জেনেও জলমহালটির ইজারাদার সেখানে লোকজন নিয়োজিত করে গত মঙ্গলবার রাত থেকে জলমহালটির বিভিন্ন স্থানে ১০টি শ্যালো মেশিন বসিয়ে রাতের অন্ধকারে জলমহালটির তলা শুকিয়ে মাছ পানি সেচের ব্যবস্থা করেন। জলমহালটির তলা শুকানোর স্থানে দিনের আলোতে মাছ ধরা হয়। এই সেচ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মধ্যনগর থানা যুবলীগের সদস্য বিল্লাল মিয়া বলেন,জলমহালটির পাড়েই আমার বাড়ি। আইনকানুনের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে লুঙ্গাতুঙ্গা জলমহালটির ইজারাদার জলমহালটিতে গত মঙ্গলবার রাত থেকে জলমহালটিতে ১০টি শ্যালোমেশিন বসিয়ে রাতের আঁধারে এটির তলা শুকিয়ে দিনের বেলায় সেখানে মাছ শিকার করে আসছেন। এতে মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বাধা নিষেধ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা এ নিয়ে ই্উএনওর স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
জলমহালটির ইজারাদার শামছুর নূর তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জলমহালটিতে ১০টি শ্যালোমেশিন বসিয়ে এটির তলা শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগটি সঠিক নয়। স্থানীয় কৃষকেরা তাঁদের জমিতে পানি সেচ দিলে আমরা তো আর না করতে পারি না।
মধ্যনগর বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ বলেন, লুঙ্গা তুঙ্গা জলমহালটিতে ১০টি শ্যালো মেশিন বসিয়ে এটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকার করায় মাছের বংশ নির্বংশ হচ্ছে। এর নেপথ্যে প্রভাবশালী কেউ হয়তোবা কাজ করছেন।তাই এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি ইউএনও স্যারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, ওই জলমহালটিতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে জলমহালটির তলার পানি শুকিয়ে মাছ শিকার করার অভিযোগে বেশ কিছুদিন আগে সেখান থেকে তিনটি শ্যালোমেশিন জব্দ করা হয়েছিল। আবারও শ্যালোমেশিন বসিয়ে এটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকার করা সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে##
দেশপ্রেম আমাদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি।আর এই প্রবৃত্তি আরও বহুগুনে বেড়ে যায় দেশের বাইরে থাকলে।সুদুর প্রবাসে থেকে নিজের দেশের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দটা আসলে কোনদিন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।আর এই আবেগ আর ভালোলাগার জায়গা থেকেই জন্ম আমাদের “দৈনিক প্রত্যয়” এর।সারা বিশ্বের প্রতি মুহুর্তের ঘটে যাওয়া সত্য ও নিরপেক্ষ খবর গুলো আপনাদের কাছে পৌছে দেওয়াই আমাদের প্রত্যয়।আমাদের এই নিউজ পোর্টাল শুধু সংবাদ প্রচার পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবেনা বরং ইতিবাচক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে নানা ধরনের ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ।