মামুনুর রশীদ মামুন,কুড়িগ্রাম:
সারাবিশ্বে এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই চিন্তিত। কারণ হিসেবে করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়াকে চিহ্নিত করা যেতেই পারে। বিষয়টি অত্যন্ত ভয়াবহ হিসেবে গোটা পৃথিবীতে প্রমানিত হলেও এটিকে সেভাবে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের জনসাধারণ।
করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তারা দ্বায়িত্ব পালনকারী প্রশাসনের সাথেনিয়মিত লুকোচুরি খেলছে। রায়গঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত রায়গঞ্জ, বোর্ডেরবাজার, হাজীরমোড়, মিনাবাজার, সাপখাওয়া ও মাস্টারমোড় বাজার গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ে। শুধুমাত্র ঔষধ সহ কিছু নির্দিষ্ট দোকান খোলার কথা থাকলেও খোলা হচ্ছে বাজারের প্রত্যেকটি দোকান।
প্রতিদিনের টহলে পুলিশ এক বাজারে পৌছালেই সে খবর পৌছে যাচ্ছে পাশের বাজার গুলোতে এবং সেখানে জরুরী সমস্ত নিয়ম মানা হচ্ছে পুলিশ বাজার পরিত্যাগ করার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। হাজার বারের চেষ্ঠাতেও এর চেয়ে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এক গোছের লোকজন জোড়গলায় বলে বেড়াচ্ছে করোনা বলে কিছু নেই।আল্লাহর গজব সব।তাই আমাদের কিছুই হবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা এই দু চার জনের কথা মেনে নিচ্ছে শিক্ষিতদের অনেক বড় একটা অংশ।
সারাদিন ইউনিয়নের অধিকাংশ খেলার মাঠ এবং পতিত জমিগুলোতে চলছে জমজমাট ক্রিকেট খেলার আয়োজন। তার উপর এপাড়া ওপাড়া বাজী ধরে দলবেধে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে ক্রিকেট লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করার ঘটনা হরহামেশাই চোখে পড়বে।যা একাধিকবার প্রশাসনের নজরে এনেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। এছাড়া ইউনিয়নের বড়বাড়ী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নেট লাগিয়ে কোর্টভর্তি লোক নিয়ে ভলিবল খেলা হচ্ছে নিয়মিতই।
গত ৮ই এপ্রিল রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে বয়স্ক ভাতার টাকা দেয়া হয় কোনো ধরনের সামাজিক দুরত্ব না মেনেই।পুরো এলাকার প্রবীণ মানুষগুলোকে এভাবে ভীড়ের মধ্যে গাদাগাদি করে দাড় করিয়ে মেম্বার-চেয়ারম্যান রা কোন ধরনের অজ্ঞতা দেখিয়েছেন তার জবাব পাওয়া মুশকিল।
এদিকে যারা ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ কিংবা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর গুলো থেকে বিভিন্নভাবে গ্রামে ফিরছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা।
পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম তার ফেসবুকের পাতা থেকে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের প্রত্যেক প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে এদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি এ ইউনিয়নে মানছেন না তেমন কেউই। বরং তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যত্রতত্র অবাধে চলাচল পুরো এলাকাকে ঝুকির মধ্যে ফেলছে।
রায়গঞ্জে সচেতন কেউ নেই তা নয়। কিন্তু অল্প কিছু ব্যাতিক্রম কে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি না।
এখন প্রশাসনের দ্বায়িত্বে অবহেলার কথা বলুন আর আমাদের অজ্ঞতার কথা, বড় বিষয় মানুষ ঘরে থাকতে চাইছে না।