দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলায় চলমান লকডাউন ভেঙে জেলার নবীনগর উপজেলায় কয়েকশ মানুষের সংঘর্ষে বর্বর হামলায় পা হারানো মোবারক মিয়া (৪৫) অবশেষে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোবারক মারা যান। করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানান তার স্বজনেরা।
সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ মোবারকের পা কেটে হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিলও করেছে অপর একটি পক্ষ।
জানা গেছে, এলাকায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউছার মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। ইতিমধ্যে এই দুই গ্রুপে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১২ এপ্রিল রবিবার সকালে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। এ সময় একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কাউছার মোল্লার পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের পক্ষের লোক রিক্সা চালক মোবারক মিয়ার (৪৫) একটি পা কেটে হাতে নিয়ে গ্রামে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে ‘আনন্দ মিছিল’ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন আজ সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মোবারকের ওপর নৃশংস হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে জোর অভিযান চলছে। এখন আরেকটি হত্যা মামলা হবে।’