নিজস্ব প্রতিবেদক:ফেনীতে নতুন করে আরও একজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এ নতুন ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তিনি ৩৫ বছর বয়সী যুবক। আক্রান্তের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজি উপজেলার উত্তর চান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘আজ সোমবার বিআইটিআইডিতে ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা’। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি করোনা পজিটিভ আছেন। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। আরওজি উপজেলার উত্তর চান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।
তিনি বলেন, ‘আজ সোমবার বিআইটিআইডিতে ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা’।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি করোনা পজিটিভ আছেন। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। আরও একটি পরীক্ষায় তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি।
৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। পরে ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওইদিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। এছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করো আক্রান্ত হন এদিন।
১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। ১৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১ জন করোনারোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। এর মধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরে সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হন।
পরের চারদিন ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় যথাক্রমে ৫, ১, ১ ও ১ জন আক্রান্ত হয়। তবে গতকাল ১৯ এপ্রিল হঠাৎ বাড়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিন ৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়াও পুরোনো এক রোগীর ফের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আজ নতুন করে চট্টগ্রামে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ ও দুই নারীসহ মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আইসোলেশনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন। মৃত্যুর পর তাদের পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়।