জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজানক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলায় শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের আজ শুক্রবার ২য় দিন অতিবাহিত হতে চলছে।
আজ (২ জুলাই) শুক্রবার লকডাউন ২ য় দিনে কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসন বাঁশখালী কর্তৃক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সংক্রামক রোগ(প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন- ২০১৮ এর আওতায় ২৫ টি মামলা দায়ের করে ১৩২০০/- জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে বাস্তবায়ন করতে পুলিশ,
বিজিবি,সেনাবাহিনী,পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি ছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ সকাল থেকে বাঁশখালী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি,পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে দেখা যায় , পৌরসভা সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় বাঁশখালী প্রধান সড়কের অবস্থা ভিন্ন। কিছু কিছু মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোষ্ট। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও রিক্সা ছাড়া ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হলেই তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সকালে থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রেমবাজার, নাপোড়া, চাম্বল বাজার ও গুনাগরি মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিনে চলমান লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং রাস্তায় বেরোনো লোকজনকে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।
গুনাগারি এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, কিছু নিত্যপণ্যের জন্য বেরিয়েছি। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকের পরিবেশ ভিন্ন।
এ টাইম বাজার, গুনাগরি মোড় ভোর থেকেই যানজট হয়ে থাকে। কিন্তু আজ বাজারে দোকানপাট খোলেনি। মানুষজনও খুবি কম। এবার আসলেই বাঁশখালীতে কঠোর লকডাউন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাস্তায় থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার। অপ্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে জেল-জরিমানা করা হবে।