পাকিস্তান ও চীনের পর সীমান্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিল হিমালয় কন্যা নেপাল। বেইজিংয়ের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের দোকালাম নিয়ে সমস্যা আছে দিল্লির। আর কাশ্মীর নিয়ে পাক-ভারত দ্বন্দ্ব তো যুগ যুগ ধরে।
ভারত-নেপাল দুদেশই কালাপানি তাদের বলে দাবি করে। নিজ দেশের ধারচুলা জেলার আওতায় কালাপানি অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি নেপালের। অন্যদিকে ভারত দাবি করে কালাপানি উত্তরাখন্ডের পিথরগড় জেলার অন্তর্গত
এই অবস্থায় নেপালের জমিতে সড়ক তৈরি করে ভারত দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি। ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের রাজার মধ্যে সই হয় সুগাউলি চুক্তি। সেখানে বলা আছে, মহাকালী নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ১৯৮৮ সালের বৈঠকেও ভারত স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলতে রাজি হয়েছিল।
কিন্তু নেপালের দাবি নাকচ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে উত্তরাখন্ড থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার লম্বা সড়কটি ভারতের জমিতে তৈরি।
নেপালের মানচিত্র পরিবর্তনকে চীনের চাপ হিসেবে দেখছে ভারতের কূটনৈতিক মহল। বিশ্লেষকদের মতে, চীন–সমর্থিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান পুষ্পকমল দহাল প্রচণ্ডের কারণে গুরুত্ব বেড়েছে নেপাল সরকারের। বেজিংয়ের নির্দেশে তিনিই ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন।