আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংসার চলতো না, তাই করতে হতো ভিক্ষা। প্রতিদিন ভিক্ষা করে যে টাকা পাওয়া যেত, তা দিয়ে কোনোভাবে খাওয়ার খরচ উঠত, আর বাকিটা জমতো। তবে জমতে জমতে সেই টাকার পরিমাণ কত যে হয়েছিল তার ধারণা ছিল না ওই ভিক্ষুকের। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সব মিলিয়ে ওই ভিক্ষুক জমিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে। গত কয়েকদিন আগে ওই ভিক্ষুকের পরিবারের এক মেয়ের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর পাঁচদিন পর প্রতিবেশীরা তাদের ঘরে ঢুকে ৩টি ট্রাঙ্ক পড়ে থাকতে দেখেন। ওই ট্রাঙ্ক খুলেই পাওয়া যায় লক্ষাধিক টাকা।
ট্রাঙ্কে যা ছিল তার সব নগদ টাকার নোট নয়, বেশিরভাগই খুচরা পয়সা। ভিক্ষা করে যে কেউ এত টাকা জমাতে পারেন, তা কেউই ভাবতে পারেননি।
এই টাকার এখন কী হবে তার একটা ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন প্রতিবেশিরাই। ওই পরিবারের সারা জীবনের সঞ্চয় যাতে বেহাত না হয়ে যায়, কিংবা অন্য কেউ আত্মসাৎ করতে না পারেন তার জন্য সেই টাকা উদ্ধার করে তা গচ্ছিত রাখা হবে ব্যাঙ্কে। যাতে ভিক্ষুকের পরিবার আগামী দিনে ওই টাকা ব্যবহার করতে পারেন।
ওই পরিবারে মোট তিন সদস্য ছিলেন। কণিকা মহন্ত, বোন মনিকা মহন্ত ও তাদরে মা শৈলবালা মহন্ত। মণিকা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের মায়ের বয়স আশির কোঠায়। শৈলবালা আগে ভিক্ষা করতেন। পরে কণিকাও একই কাজ শুরু করেন। দিনভর ভিক্ষা করে সামান্য খরচ করে বেশিরভাগটাই জমিয়ে রাখতেন কণিকারা।