গাজী তাহের লিটন, ভোলা: সহিংসতা,কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন এবং কারাদন্ডের মধ্যদিয়ে ভোলার চার উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দল বেঁধে কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হন ভোটাররা।
সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু কিছু কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চরফ্যাশনে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রাথী সংঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনির (২৫) নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বশির উল্ল্যাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনার প্রধান আসামী রিয়াজ নামের এক জনকে গ্রেপ্তার করে। কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ইয়াসিনের (ফুটবল) ও ইউসুফ (টিউবওয়েল) প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
অপরদিকে মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান ভোট বর্জন করেছেন। এ সময় তিনি পুনরায় ভোট গ্রহণেরর দাবী তোলেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের দায়ে ৩ জনেক ৩ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে তাদের কারাদন্ড দেয়া হয়। তারা সবাই প্রার্থীদের এজেন্ট ছিলেন।
ভোলার তজুমদ্দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন চাচড়া ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান।ভোলার তজুমদ্দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন চাচড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান।
এক প্রার্থীর ভোট বর্জন: ভোলার তজুমদ্দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন চাচড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান। ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম, কর্মী সমর্থকদের মারধরসহ নানা অভিযোগে এনে তিনি ভোট বর্জন করেন। দুপুরে তিনি নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার সাথে তার আনারস প্রতিকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় প্রতিপক্ষ প্রার্থী নৌকার কর্মীরা। যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিলো তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনের শুরুর আগে বহিরাগত লোকদের দিয়ে তার সমর্থকদের ১৫০ টি ঘর ভাংচুর এবং হামলা চালায়। এতে ১০০ কর্মী আহত হয়েছে। ভোটের পরিবেশ না থাকা এবং নানা অনিয়ম হওয়ায় ভোট থেকে সরে গিয়েছি। বিষয়টি প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকেও লিখিতভাবে জানিনয়েছি। এ সময় তিনি ভোট বর্জন করে পুনরায় ভোটের দাবী জানান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আমির খসরু গাজী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি লিখিত আমরা অভিযোগ পেয়েছি।
জানাযায়, ভোলা জেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ছাড়াও পুরুষ সদস্য পদে ৪০৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গুলিতে মনির নামের একজন নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে কেউ নিহত হয়নি।