আব্দুল্লাহ আল হাসিব, মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রুগির সার্বিক খোজ খবর নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান ইউএনও মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী। এসময় তিনি আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোজ খবর নেন।
শোয়াইব নামের ওই আক্রন্ত ব্যক্তির বয়স ১৬ বছর। সে নবম শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ রবিউল (৩৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তিনি মণিরামপুরের শেষ সিমানায় কেশবপুরের ঈমাননগর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তার শ্বশুর বাড়ির সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করালে সবার নেগেটিভ আসলেও রবিউলের শ্যালক শোয়াইব (১৬) এর পজেটিভ আসে।
করোনা পজেটিভ আসলে তাকে মণিরামপুরের ইউএনও ও কেশবপুরের ইউএনও এর সমন্বয়ে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে নিয়ে আসা হয়। গতকাল (২৩ এপ্রিল) থেকে শোয়াইব আইসোলেশন বিভাগে অবস্থান করছে।
আইসোলেশন বিভাগে এটাই প্রথম কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত। শোয়াইবের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ডাঃ মোঃ মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত বলেন, “শোয়াইবকে আমরা ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখছি। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে শোয়াইবের পরবর্তি টেস্টে নেগেটিভ আসবে।” তিনি আরও বলেন তার সময় কাটানোর জন্য গল্পের বই ও একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শোয়াইবকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান ইউএনও মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী। শুক্রবার বেলা ২টার দিকে তিনি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ যান। আইসোলেশন বিভাগের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি শোয়াইবের সাথে কথা বলেন। নিয়মিত ব্যায়াম আর নামাজ পড়ার পারামর্শ দেন তিনি। তার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এসময় তিনি বলেন, “শোয়াইব মানসিক ভাবে যথেষ্ট শক্ত আছে। তার যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে আমি খেয়াল রাখব এবং তার পরবর্তি পরিক্ষার ফলাফল আশা করি নেগেটিভ আসবে।” মোবাইলে যোগাযোগের জন্য শোয়াইবের মোবাইলের নম্বর নিয়ে আসেন ইউএনও ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, বিডিক্লিন যশোর জেলা সমন্বয়ক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী টিমের উপজেলা মেন্টর আল হেলাল মামুন সহ পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্য ও হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ।