আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী সোমবার মালি থেকে তাদের সব সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিল। ২০১৩ সালে দেশটিতে সশস্ত্র বিদ্রোহের পরেই জাতিসংঘের মিনুসমা নামে পরিচিত এই মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু বর্তমান সামরিক সরকার দেশটি থেকে জাতিসংঘের সব শান্তিরক্ষী সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘ মিশনের প্রধান জানিয়েছেন, দেশটিতে তারা অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কিন্তু সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর অনেক সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। প্রায় ৩১০ শান্তিরক্ষী সদস্য নিহত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের এ ধরনের যতগুলো মিশন আছে তার মধ্যে লেবাননের পর মালির মিনুসমার সদস্যদেরই সবচেয়ে বেশি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
এর আগে মালি সরকার জাতিসংঘকে জানায় যে, তাদের ১২ হাজার শান্তিরক্ষী সদস্যকে দেশ ছাড়তে হবে। পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওই মিশন প্রত্যাহারের বিষয়ে ভোট হয়। নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে গত ৩০ জুন একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়।
ওই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল ও মালি মিশন হতে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত কয়েক মাস ধরেই জাতিসংঘ মিশনের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সব সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ১০ বছর পর দেশটি থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলো।
শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় তিমবুকতু অঞ্চলে মিনুসমার সর্বশেষ বড় ক্যাম্পটির নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সরকারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মালিতে বিভিন্ন সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এই মিশন প্রত্যাহারের কারণে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ১০ বছরে মালিতে জাতিসংঘের এই মিশনে প্রায় ১৫ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।