প্রত্যয় আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে একটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে ইরানের শীর্ষপরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফকিরজাদেহকে হত্যার কয়েকদিন আগে। তবে ইউএসএস নিমিটজ্ এর এই মোতায়েনের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির সম্পর্ক নেই বলে শনিবার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রণতরীটি মোতায়েনের পর যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর বাহরাইনভিত্তিক পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রিব্যারিচ এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেছেন, “নিমিটজ্ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের ফিরে আসার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির ভূমিকা নেই।” মহসেন ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির হোতা বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন থেকেই সন্দেহ করে এসেছে। কূটনৈতিকরা তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। শুক্রবার তেহরানের কাছে চোরাগোপ্তা হামলায় নিহত হন তিনি।
মহসেন হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বজ্রের মতো আঘাত হানার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেগান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলের দিকে আঙুল তুলে ‘রাষ্ট্রীয় এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা’ জানাতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মহসেনের উপর হামলার জন্য যে-ই দায়ী হোক না কেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের আগে আগে এমন ঘটনায় ইরান ও তার শত্রুদের মধ্যে নতুন সংঘাতের হুমকি তৈরি হয়েছে। কিন্তু রণতরী মোতায়েনের বিষয়টি ইরানের সঙ্গে জড়িত নয় বরং ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানিয়েছেন কমান্ডার রিব্যারিচ।