1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

রাতে ইরান, সকালে হিজবুল্লাহর হামলা ইসরায়েলে

  • Update Time : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গতকাল রাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সকালে হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহ বলছে যে, তারা আজ সকালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েলি সামরিক ব্যারাকে রকেট হামলা।

হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে এসব জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আরও বলেছে যে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে শুৎলা ও মাসকাফ আম সেটেলমেন্টে এবং শোমেরা ব্যারাকে ইসরায়েলি সেনাদের একটি জমায়েতে তিনটি মিসাইল হামলা চালানো হয়।

হিজবুল্লাহ বলছে তারা যত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এর বেশ কয়েকটি সরাসরি ও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।

এই হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগেই লেবাননের আদাইসেহ শহর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটিয়ে দেওয়ার কথা জানায় হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর এসব দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি  ইসরায়েল।

ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এক রাতে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ইরানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার রাতের হামলার পর বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে লয়েড অস্টিন বলেন, “আমরা ইরানের এই ভয়াবহ আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং ইরান এবং তার সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইসরায়েলে আর কোনো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

“সেই সঙ্গে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সেনাঘাঁটি, ইসরায়েল এবং ওই অঞ্চলে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের লক্ষ্য করে যদি পরবর্তীতে কোনো ধরনের হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা ইসরায়েল ও আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের পাশে থাকব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সেই হামলার সমুচিত জবাব দেবে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বার্তায় জানিয়েছেন, “ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে, ঠিক সময়ে সেটির বাস্তবায়ন করা হবে।”

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরী দেশের পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব ওই অঞ্চলে অচিরেই যুদ্ধের আশঙ্কাকে উসকে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল বারনিয়ার এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বেয়ারবক।

যা বলছে জর্ডান
গতকাল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হলেও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ পড়েছে জর্ডানেও। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া জর্ডান বলছে, তারা কারও যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।

জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্রদেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান।

জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী আম্মানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ পড়েছে।

দেশটির একজন মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-মোমেনি আল-মালাকা টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, জর্ডানের অবস্থান সবসময়ই এটা ছিল যে এটি কারও জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হবে না। জর্ডান এবং এর জনগণকে রক্ষা করা আমাদের প্রথম দায়িত্ব।

ক্ষেপণাস্ত্র এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন আল-মোমেনি।

রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় সম্প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আম্মানের উত্তর-পশ্চিমে বালকা গভর্নরেট থেকে একটি লাইভ প্রতিবেদনে একজন সাংবাদিক জানান, সেখানে ২ মিটার লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রের একটি টুকরো এসে পড়েছে।

আশ্রয়ে নেওয়ার আদেশ: জর্ডানের সামরিক বাহিনী দেশের জনগণকে  বাড়িতে থাকতে এবং তার সব বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

তেহরানে উৎসব 
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেহরানের রাস্তায় উদযাপন করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। ইরান এবং হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। শুক্রবার লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতার ছবিও ছিল অনেকের হাতে।

ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে মূলত এই জমায়েত হয়। এর আগে এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরানের হামলার পরও এই একই স্থানে জমায়েত লক্ষ্য করা যায়।

সম্প্রতি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গতকাল রাতে ইসরায়েলে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড। তারা বলছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয় তবে আরও হামলা চালানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..