প্রত্যয় ডেস্ক: নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। নাগার্নো-কারাবাখ ও আশেপাশের সাতটি অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়ান বাহিনী সরে না এলে তার দেশ লড়াই অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত এ দেশ দুটি অঞ্চলটি নিয়ে ২৫ বছর ধরে বিরোধে লিপ্ত। সংঘাতে এরই মধ্যে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে যা দেশ দুটির মধ্যকার পূর্বের যেকোনো সময়ের সংঘর্ষগুলোর সংখ্যার তুলনায় সর্বাধিক। এখন পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ দুটির মধ্যকার সংঘাতকে কেন্দ্র করে তুরস্ক এরই মধ্যে আজারবাইজানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা চুক্তি থাকায় রাশিয়া আর্মেনিয়ার পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাসিনিয়ান রাশিয়ার সহায়তার আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর্মেনিয়ার মূল ভূখন্ড আক্রান্ত হলেই কেবল রাশিয়া দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পদক্ষেপ নেবে, আর্মেনিয়ার বাইরের কোনো অঞ্চলে নয়।
চলমান সংঘর্ষ বন্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি তিনবার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখনো শান্তি ফিরেনি। নাগার্নো-কারাবাখের সেনাবাহিনী দাবি করেছে তাদের ১ হাজার ১৬৬ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে এবং ৪৫ জন বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির এখনো কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার ভাষ্যে, উভয়পক্ষের প্রায় ৫ হাজার প্রাণহানি ঘটেছে। উল্লেখ্য, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি আজারবাইজানের স্বীকৃত আঞ্চল হলেও এর আধিবাসীরা খ্রিস্টান ও আর্মেনিয় জাতিগোষ্ঠী। এর ফলে মুসলিম অধ্যুষিত আজারবাইজানের সঙ্গে অঞ্চলটির অধিবাসীদের ভিন্নতা রয়েছে।