আন্তর্জাতিক ওয়েব ডেস্ক:যার কথা বলছিলাম বেন অ্যান্ড্রু ইংল্যান্ডের নাগরিক পেশায় একজন পাইলট বর্তমান বিপর্যয়ে ফ্লাইট কমে যাওয়াতে চাকরি খোয়াতে হয় সবকিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। এন্ড্রো নিজেকে নিয়ে ভাবতে লাগলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন এভাবে বসে না থেকে নিজেকে এই মূল্যবান সময়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে এবং ভালো কিছু করতে টেসকো সুপার মার্কেটে যোগাযোগ করলেন এবং তার ডাকে সাড়া দিয়ে নিয়োগ পেয়ে গেলেন ডেলিভারি ড্রাইভার পদে এবং এখনো পর্যন্ত স্বপদে বহাল আছেন এবং সবাইকে তাক লাগিয়ে খবরের কাগজের শিরোনাম করে নিলেন।
মানুষের জীবনে জীবিকার জন্য সে যেই পেশায় থাকুক না কেন প্রত্যেক পেশা অনেক বড় এবং সম্মানের বেঁচে থাকার জন্য এবং তার পরিবারের জন্য এবং অবশ্যই সমাজের জন্য কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক সময় বিপরীত কিছু দেখতে পাই যেমন অনেক মানুষ পদবী নিয়ে অহংকার করে শিক্ষা নিয়ে অহংকার করে টাকা পয়সা নিয়ে অহংকার করে এবং সামাজিক বৈষম্য নিয়ে অহংকার করে আবার উল্টোও দেখা যায় অনেক উচ্চশিক্ষিত অথবা ধনী কিন্তু সমাজের সবার সাথে মিলেমিশে তাদের কীর্তি দিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছেন। বর্তমান সমাজে অ্যান্ড্রুর মত লোকের খুব অভাব যার প্রভাব আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে অহংকার ,হিংসা ,পদবি ,বৈষম্যর থাবায় সমাজে বিবাদ এবং দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। কর্ম দিয়েই মানুষের পরিচয় মানুষ অমর হয়ে থাকে তার কর্ম দিয়ে এই দুনিয়াতে একা এসেছে সবাইকে একাই যেতে হবে রয়ে যাবে স্মৃতি সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আসুন গাহি সাম্যের মৈত্রীর গান চিত্ত হোউক সমুদ্রের মতো বিশালতা জয়তু মানবিকতা।
লেখক: দিলীপ বড়ুয়া, ডাবলিন, আয়রল্যান্ড।