1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

সম্মুখ যোদ্ধারা করোনায় বেশি আক্রান্ত

  • Update Time : বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৭৭ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনার বিরুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন (সম্মুখযোদ্ধা) চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টরা। যতদিন যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে এ সম্মুখযোদ্ধারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দশ দিনে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট মিলে ৫১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গড় হিসাবে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ৫১ ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনার চিকিৎসায় সরাসরি নিয়োজিত ৬৭৮ চিকিৎসক, নার্স ও টকেনোলজিস্ট আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ১০ দিনে ৩২২ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে সময়ে (২৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল) আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। এ নিয়ে মোট চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ৪২২ জন। এদিকে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ জন নার্স এবং ২৩ জন টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ), বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি (বিবিজিএনএস) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিএ) সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে গত দশ দিনে পাঁচ শতাধিক স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ায় রোগীদের সেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এভাবে স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ একজন চিকিৎসক

বা নার্স আক্রান্ত হলে তার সঙ্গে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। ফলে এক সময় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও নার্স পাওয়া যাবে না। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় দেশে টেকনোলজিস্টদের সংকট রয়েছে। যারা মাঠে আছে তারা আক্রান্ত হলে নমুনা সংগ্রহ করার লোকও পাওয়া যাবে না।

চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতরা বলছেন, মানহীন পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহের কারণেই স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টরা চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের মানসম্মত মাস্কও সরবরাহ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। তারা বারবার এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। তাছাড়া রোগীরা তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে চিকিৎসক ও নার্সরা আক্রান্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) বলছে, গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল ১০০ জন। দশ দিনের ব্যবধানে এই সংখ্যা এখন ৪২২। অর্থাৎ এই ১০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২২ জন। সর্বশেষ একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। মোট আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৩০৮ জন।

এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালের ১৯১, বেসরকারি হাসপাতালের ৯৭ এবং অন্যান্য হাসপাতালের ২০ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা বিভাগের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগে। এ বিভাগে ৪৬ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৪, খুলনায় ১৩, বরিশালে ১০, সিলেটে ৬ এবং রংপুরে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

বিডিএফের প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস আমাদের সময়কে বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। সর্বশেষ একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন চিকিৎসক। অর্থাৎ প্রতিঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন চিকিৎসক। বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির (বিবিজিএনএস) তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত নার্সের সংখ্যা ছিল ৫৭ জন। গতকাল এই সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১০ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৬ নার্স। মোট আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫২ এবং বেসরকারি হাসপাতালের ৮১ জন নার্স রয়েছেন।

বিবিজিএনএসের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু আমাদের সময়কে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ পিপিই, গাউন এবং মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এখন এসব সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। এর সুফল পেতে একটু সময় লাগবে।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিএ) সদস্য সচিব মো. আশিকুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার মূল কাজটিই করছেন টেকনোলজিস্টরা। এই কাজ করতে গিয়ে সারাদেশে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..