বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : কেউ জানেন না কোথা থেকে এসেছেন তিনি। কেউ তার নামও জানেন না। শুধু শহরের বিভিন্ন সড়কের ধারে তাকে দেখা যেত রান্না করতে। সম্প্রতি এই ভারসাম্যহীন দুস্থ নারী শহরের বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন গোল চত্বরে নিজেই তৈরি করেন ঝুপড়ি ঘর। কিন্তু শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে রোববার উচ্ছেদ করা হয় ঘরটি।
অবশেষে সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর উপহার দেয়া হয় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। রোববার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে নতুন ঠিকানায় পৌছে দেন। এ সময় তার দেখাশুনা করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে খাবারের জন্য তাকে চাল, ডাল, লবণ ও তেল দেওয়া হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কান্দরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে একটি ঘর দেওয়া হয়। এর আগে সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ডের গোল চত্বরে তার নিজের তৈরি করা ঝুপড়ি ঘরটি উচ্ছেদ করে প্রশাসন।
ঘর প্রদানের সময় ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিছুদিন ধরেই এই দু:স্থ ভারসাম্যহীন নারীটি শহরের গোল চত্বরে ঝুপড়ি ঘর নির্মান করে বসবাস করছিলেন। যেটি আসলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এরই লক্ষ্যে রোববার সকালে সেই ঝুপড়ি উচ্ছেদ করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।