জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম): গত ৩১ মে শামসু নামের এক ড্রাইভার একটি প্রোভক্স প্রাইভেট গাড়ি সহ ২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসার সময় পথিমধ্যে অন্য সহযোগীদের সহায়তায় ড্রাইভারকে মুখ এবং হাত পা বেধে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং ড্রাইভার কে উখিয়া থানাধীন অজানা কোন এক পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখে।পরবর্তীতে ড্রাইভার এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকার গাড়ির মালিকের কাছে ৬ (ছয়) লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, টাকা না পাওয়া গেলে ড্রাইভার কে মেরে ফেলাসহ গাড়ি অন্যত্র বিক্রি করা হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

তখন গাড়ির মালিক ৯৯৯ এর সাহায্য নেয় এবং ৯৯৯ উখিয়া থানাকে অপহরণের বিষয়টি জানালে উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এর নেতৃত্বে উখিয়া থানার ৩ টি চৌকস টিম ৩ টি জায়গায় গতকাল বিকেল থেকে একটানা অভিযান পরিচালনা করে উখিয়া থানাধীন হলদিয়া পালং এর পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের ৮ জন ( ৬ জন পুরুষ ও ২ জন নারী) সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং আসামিদের দেখানো মতে উখিয়া থানাধীন রত্নাপালং ইউনিয়নের অন্য আরেকটি জায়গা হতে গাড়িটি জব্দ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা প্রায় সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে গাড়ি ভাড়া কক্সবাজারে নিয়ে এসে অপহরণ, চাঁদাবাজি করে থাকেন।

এছাড়া তারা মাদক চোরাকারবারিও করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের মাদক এর সিন্ডিকেট রয়েছে। আটককৃতদের ০৪ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক আইনে পূর্বে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তারা এও স্বীকার করে যে তারা বিভিন্ন সময়ে জেলে থাকার কারণে বিভিন্ন জেলার লোকজন এর সাথে পরিচয় ঘটে এবং তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ও অপহরণের এই সিন্ডিকেট টি গঠন করে।

৯৯৯ এর ফোনকলে পুলিশে অভিযানে একটি মানুষ এর জীবন বাঁচালো, উদ্ধার হলো গাড়ি, সেইসঙ্গে অনেক বড় একটি অপরাধী চক্র শনাক্ত এবং গ্রেফতার হলো। উক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সবার সেবা ও নিরাপত্তায় সর্বদা নিয়োজিত।