নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও জেলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। আজ এ সময় শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সব সহযোগী সংগঠন তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সব বিভাগীয় সম্পাদকরাও তাদের উপকমিটি জমা দিয়েছেন। তবে করোনা ও দলীয় কোন্দলের কারণে বিশের অধিক জেলা তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে পারেনি। জমা পড়া এসব কমিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের দফতর সূত্রে জানা গেছে, অন্তত দুই তৃতীয়াংশ জেলা তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছে। বাকি জেলাগুলো করোনার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। অনেকে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটি জমা দিয়েছেন। সম্মেলন ও কমিটি গঠনের দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসছে চাঙ্গাভাব। কমিটিতে নিজের নাম লেখাতে বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন পদপ্রার্থীরা। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ত্যাগী ও যোগ্যদের কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। দফতরে জমা পড়া কমিটিগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ যাচাই-বাছাই করবেন।
দীর্ঘদিন পর নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগের দিন সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ৩০ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দেওয়ার জন্য সর্বশেষ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়াম লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সম্মেলনে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন প্রবীণ নেতা শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বর্ষীয়ান নেতা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ মো. হুমায়ুন কবীর। সম্মেলন থেকে দুই মহানগরের সভাপতিকে ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দলীয় সভাপতির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু ১৫ দিনের স্থলে ১০ মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিল মহানগরের দুই অংশ। অন্য জেলা কমিটিগুলো আরো বিলম্ব করেছে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে। যদিও কারণ হিসেবে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবকে দায়ী করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান জানান, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্র জানায়, মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এবার কাউন্সিলরদের রাখা হয়নি। তবে কাউন্সিলররা থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে থাকবেন।