ওয়েব ডেস্ক: প্রবল থেকে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা উপকূলে আঘাতের সময় এর বাতাসের গতিবেগ ১৫০-১৭৫ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেছন, মোখার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হতে পারে। পরদিন রোববার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
শুক্রবার (১২ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, মোখার গতি স্লো হয়ে গিয়েছে। এটি আগে ঘণ্টায় ১৫-১৬ কিলোমিটার বেগে মুভমেন্ট করছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে গড়ে ৮-১০ কিলোমিটারে। বর্তমানে এই মুহূর্তে এর গতি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার আছে। গতরাতে কিছু সময়ের জন্য এটি ১১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উঠেছিল।
এই গতিবেগ থাকলে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ সাউথইস্ট উপকূল দিয়ে এবং মিয়ানমারের নর্থ উপকূল দিয়ে মোখা ক্রস করবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা পুরোটাই এই মোখার আওতায় থাকবে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন মোখার পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে সিডরের মতো আই ফরমেশন বা চোখাকৃতির তৈরির দিকে এগুচ্ছে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। এমন গতি অব্যাহত থাকলে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। এখন পর্যন্ত ঝুঁকিতে আছে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ। এ ছাড়াও রয়েছে সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া। আজ থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৩ তারিখ থেকে সারা দেশেই বেড়ে যাবে বৃষ্টিপাত।
সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এগোলেও একপর্যায়ে এটি উত্তর দিকে বাঁক নেয় এবং বিকেল নাগাদ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আগানোর আশঙ্কা রয়েছে।