মোঃ মোশফিকুর ইসলাম,নীলফামারীঃ নীলফামারীর সদরের প্রকৃতির মুগ্ধকর ছায়াঘেরা পরিবেশে গড়ে তুলেছে একটি ডিগ্রি কলেজ, আর এটি কলেজ হতে অনার্স কলেজে রুপান্তরিত হয়েছে। আর এটা করেছেন যিনি, তিনি হলেন অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এসএসসি নিজ হাইস্কুলে, এইচএসসি নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে, অনার্স ও মাস্টার্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর বন্ধু বান্ধব ছুটছে, সরকারি চাকরির পেছনে, তিনি তখন গ্রামে এসে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের কথা ভেবে, কলেজের কাজে হাত দেয় এবং ১৯৯৪ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করেন। তিলেতিলে গড়ে তুলেছে গোটা কলেজ, ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষে নীলফামারীর গর্বিত এমপি আসাদুজ্জামান নূর মহোদয়ের সহোযোগিতায় এই কলেজে বাংলা এবং ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেন।
সম্প্রতি এই সুনামকে কলংকিত করতে মিথ্যা সংবাদ লিখেছেন কতিপয় সংবাদ কর্মী। সেই বিষয়ে মানবিক বিভাগের সেতেরা আক্তার রোলনম্বর ২৪ বলেন, যেখানে বোর্ডের ঘোষণা হয়েছে ২ হাজার টাকা, সেখানে আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে স্যার ১হাজার ৫ শত টাকা রসিদ দিয়েছেন। এইচএসসি মানবিক বিভাগের ইশতিয়াক আহমেদ রোলনম্বর ১২৮, সুমনা আক্তার রোলনম্বর ৮৯ একই ফি নিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্রবীণ শিক্ষার্থী সাইখুল ইসলাম সাগর বলেন, ফেসবুকে গতকাল খবরটা দেখে চমকে যাই কারণ, ঐ কলেজে দুই বছর পড়াশোনা করে এইচএসসি পাস করেছি। যে অধ্যক্ষ বিষয়ে উনি লিখেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা, ওনার কর্ম গুনের কারণে আজ চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজ অনার্স কলেজ হয়েছে। অত্র কলেজের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক শ্রী রঞ্জন কুমার বলেন, কলেজ কে হ্যায় প্রতিপন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল, তারই ধারাবাহিকতায় এই দুর্নাম রটাচ্ছে, বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।
চাদের হাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, আজ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তিলেতিলে আমি এই কলেজ কে গড়েছি, আমার সাথে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বিজ্ঞ জিপি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া প্রায় ৯ বছর ধরে আছেন, এবং এই এলাকার মাটি ও মানুষের নেতা মাননীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর মহোদয় সর্বক্ষণ সকল বিষয়ে ওনার মতামত এবং নির্দেশনায় কলেজ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যা লিখেছেন তা মিথ্যা বলে প্রতীয়মাণ।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..