সরকার রাজীব, ঢাকাঃ রাজধানীর বনানীর কড়াইলের যুবলীগ কর্মী আলামিন হত্যার প্রতিবাদে সু-বিচার নিশ্চিত, হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে আলামিনের পরিবার ও এলাকাবাসী।
আল আমিন সরকারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটলেও মূল আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন তারা। ঘটনার তিন মাস অতিবাহিত হলেও আদালতে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন নিহত আলামিনের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী নূরু এসে তাদের হুমকি দিয়েছে ‘আরো পাঁচ জনকে মারবো কী করতে পারবি তোরা?’
মানববন্ধনে নিহত আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার বলেন, হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্ত্রাসী নূরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের কাছে সে পালাতক। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার, দ্রুত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সু-বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগষ্ট এশার নামাজের সময় কড়াইল বস্তির নূরানী মসজিদের ভেতরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা আলামিনকে। এই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয় তার ভাইসহ আরও কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ওইদিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুর নেতৃত্বে ভাইগ্না আলী, মোহাম্মদ আলী, কবির, আজিজুল, খাজা, আমজাদ গং হামলা চালায়। এসময় তারা একাধিক ঘর এবং দোকানও ভাঙচুর করে। এ হত্যা ও হামলার নেপথ্যে বস্তির চাঁদাবাজি।
আলামিন হত্যার ঘটনায় বনানী থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আলামিনের মেজো ভাই মো. জুয়েল সরকার। মামলার আসামিরা হলেন- মো. নুর আলম নুরু (৩৮), মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. খাজা (৪৫), মো. আমজাদ (৩০), মো. রাসেল (৩৫), মো. মাহাবুর আলম (২১), মো. কবির (৩৮), মো. মাসুদ রানা (১৯), মো. আলী হোসেন (২৭), মো. আজিজুল (৩২), মো. সেন্টু মৃধা (৫০), মো. শফিকুল ইসলাম রাজু (৪০), মো. মাহবুব আলম (৩৫), মো. তানভীর (২০), মো. মামুন (২০), মো. সাব্বির (১৯), মো. মেহেদী (১৯), মো. ইলিয়াস আহমেদ (২২), মো. শহিদুল (৩৫), স্বাধীন (১৯), মো. নাজির (৪০) ও কাউসার (৫৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের আসামি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে আলামিন হত্যায় জড়িত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোহাম্মদ আলী, মো. খাজা, মো. আমজাদ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির রাসেল (৩৪) এবং মাসুদ আলম।