1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

করোনা সুরক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

  • Update Time : রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৬৩ Time View

দৈনিক প্রত্যায় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংকটে নাগরিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এশিয়াপ্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আটটি ক্ষেত্রে দেশগুলোর নেয়া সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার তুলনা করে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।

এ অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের ওপর এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এশিয়াপ্যাসিফিক ইকোনমিস্ট নেটওয়ার্ক নামের অর্থনীতিবিদদের একটি সংগঠন।

আটটি ক্ষেত্র বা সূচকগুলোর প্রথমেই আছে সুলভ স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর পদক্ষেপ। এ ছাড়া আছে অসুস্থতাকালীন ছুটির সময় পর্যাপ্ত ভাতা ও সুবিধা, চাকরিচ্যুতি ঠেকানো এবং চাকরিহারা মানুষকে সহায়তা দেয়া; বয়স্ক, বেঁচে ফেরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা।

আরও আছে নাগরিকদের আয়-সহায়তা জোগানো ও পরিবারকে সেবা দেয়ার প্রয়োজনে ছুটি বা অন্য সুবিধার নীতি। এছাড়া কর এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের প্রদেয় মেটানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়াও বিষয়টিও দেখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পদক্ষেপ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেয়া তুলনামূলক চিত্রের ছকটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার শুধু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে। অবশ্য সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে ছকে দেশগুলোর কোনো পদক্ষেপ বাদও পড়ে থাকতে পারে। যদিও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সব রকম পদক্ষেপই নিয়েছে।

তিনি বলেন, গরিব মানুষকে খাবার ও কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসাসহ কোনো উদ্যোগে ঘাটতি নেই।

প্রতিবেদনের ছক অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিপাইন, ইরান ও থাইল্যান্ড। এ দেশগুলো সাত ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ছয় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে চীন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। পাঁচ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত।

ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা চারটি এবং নেপাল ও পাকিস্তান তিনটি করে পদক্ষেপ নিয়েছে। শেষের দুটি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে বাড়তি হিসেবে নাগরিকদের জন্য আয়ের সহায়তা দিয়েছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা চাকরির সুরক্ষা দিয়েছে। ভারত প্রতিষ্ঠানের কর দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ব্যবস্থাও করেছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ শ্রমশক্তির জোগান দিচ্ছে। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সামর্থ্য অপেক্ষাকৃত বেশি। তবে বাংলাদেশ, নেপাল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে কম। কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করার সামর্থ্যও তাদের কম।

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে বিরাট সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। একই কারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে তৈরি পোশাকের বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে বহু নারী শ্রমিক কাজ হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন ভাসমান শ্রমিক ও উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী। আর বিপদে পড়বে অনানুষ্ঠানিক খাত। এই জনগোষ্ঠী অনানুষ্ঠানিক খাতের ওপরে নির্ভরশীল। একটি রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকেরা ন্যূনতম যে স্বাস্থ্যসুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা পায়, তারা তা পায় না। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করেছে।

ব্র্যাকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর যে সামর্থ্য আছে, তাতে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান এতটা নিচে থাকার কথা নয়। এটা হয়েছে, কারণ সরকার সবার সমর্থনকে কাজে লাগাচ্ছে না।

এর আগে ৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনীতিবিষয়ক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এফএম গ্লোবাল ‘গ্লোবালরেজিলিয়েন্স ইনডেক্স২০১৯’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সূচক অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্যের দিক থেকে ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম।

ওই সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৫৮ ও ৮১তম। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের এই সামর্থ্য তথা রেজিলিয়েন্স বা সহিষ্ণুতার ক্ষমতা কম।

ওই সূচক তৈরি করা হয়েছিল মূলত দেশগুলোর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, করপোরেট সুশাসন ও ব্যবসার পরিবেশকে আমলে নিয়ে। এ বিষয়গুলো যেসব দেশে ভালো অবস্থায় আছে, করোনা ভাইরাসের মতো স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক খাতের চাপ সহ্য করার সক্ষমতা তাদের বেশি থাকবে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪হাজার ৯৯৮ জন, মারা গেছেন ১৪০ জন; আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১২ জন।

সূত্রঃ শীর্ষনিউজ

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..