নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা ছুঁতোয় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিষয়টিকে অভিনব ও হাস্যকর তামাশার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একটি সংবাদ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। খিঁচুড়ি রান্না প্রশিক্ষণের জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। ইতোপূর্বে পুকুর খননের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছিল। এছাড়াও পাবদা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে সরকারী কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়েছিলেন।এসব অভিনব ও হাস্যকর তামাশা কেবলমাত্র শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব। বিএনপির এই নেতা বলেন, আবহমানকাল ধরেই উল্লিখিত বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের রপ্ত। অথচ সেইসব বিষয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানোতে একটি প্রবাদ মনে পড়ে যায়-‘সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল’। মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ফালতু কাজে সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো মূলত: মিডনাইট নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দেয়া। যে সরকারের আমলে একটা বালিশের দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গত দু’দিন আগে বলেছেন-‘বিএনপি চিরাচরিত মিথ্যাচার করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, ‘বিএনপি বলেছে এই সরকার করোনা রোগীদের পরিসংখ্যানে ৮২ হাজার রোগীর নাম বাদ দিয়েছে’। তিনি বলেছেন ৮২ হাজারের তথ্য কোথায় পেয়েছেন এবং এই তালিকা জানতে চেয়েছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-বানোয়াট এবং অসত্য কথা বলার ফেরিওয়ালা আপনারা।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে এসেছে ৮২ হাজার নয়, ৮৪ হাজার করোনা রোগী সরকারের ডাটাবেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ডিজি হেলথ সার্ভিস কি সরকারী নাকি বিরোধী দলীয় প্রতিষ্ঠান? এটি প্রত্যক্ষভাবে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের ডাটাবেজ থেকে ৮৪ হাজার রোগীর নাম হারিয়ে গেল কিভাবে?
সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ,নির্বাহী কমিটির সদস্য একরামুল হক বিপ্লব,স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুর রহমান,মোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।