সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠন থেকে পাঁচজন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দুজন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে। তারা হাতে ফুল নিয়ে দলে দলে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
শহীদ মিনারে প্রবেশপথ পলাশী মোড়। দেখা যায়, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যানারে সারিবদ্ধভাবে ঢুকছেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি ব্যানারে ১০০ থেকে পাঁচ শতাধিক পর্যন্ত লোক রয়েছেন। তারা নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। প্রবেশপথে তাদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও ভেতরে গিয়ে তা খুলে ফেলেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই নেই। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মাস্ক পরতে। এভাবে সকাল ৯টা পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে।
সকাল ৮টায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কালো পাঞ্জাবি পরে পলাশী মোড় দিয়ে ঢোকেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম। কিন্তু তার পেছনে থাকা অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। একই সময় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ঢোকেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। তারা ভাষা শহীদ এবং দলীয় স্লোগান দেন।
কামরুল হাসান রিপন বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার কর্মীরা এসেছেন। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন বলে দাবি করেন তিনি।