স্পোর্টস ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় আইপিএল শিরোপা জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু শেষ বলে এসে হার্দিক পান্ডিয়াদের হতাশার আগুনে পুড়িয়ে পঞ্চম ট্রফি জয়ের উদযাপন করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচশেষে এক প্রতিক্রিয়ায় গুজরাট অধিনায়ক বললেন, আমি ধোনির জন্য খুশি। যদি হারতেই হয়, তাহলে ধোনির বিপক্ষে হারা ভালো।
শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয় পেতে দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম তিন বলেই ইয়র্কার লেন্থে বল করেছেন মোহিত শর্মা। খরচ করেছেন মাত্র দুই রান। তখন ম্যাচের পেন্ডুলাম দুলছিল দু’দিকে। যার ধারাবাহিকতায় শেষ দুই বলে চেন্নাইয়ের ১০ রান দরকার ছিল। প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচের লাগামে টান দেন জাদেজা। বাকি কাজটাও তিনিই সেরেছেন। ডান পায়ে উড়ে আসা ফুলটস বল পেছনে ঠেলে দিয়ে দৌড়। বল ততক্ষণে সীমানা পেরিয়ে গেছে।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে হারের পর সতীর্থ খেলোয়াড়দের দায় দিতে নারাজ হার্দিক পান্ডিয়া। বরং সবার প্রশংসা করে ভাগ্যকেই দায়ী করলেন তিনি। টাইটান্স অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দল দুর্দান্ত খেলেছে। তবে সিএসকে এদিন বেশি ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ওরাই জয়ের যোগ্য।’ সেই সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা সব জায়গায় ভালো খেলেছি। আমরা এখানে হৃদয় দিয়ে খেলেছি এবং শেষ পর্যন্ত যেভাবে লড়াই করেছি তাতে গর্বিত। আমাদের লক্ষ্য একটাই- আমরা একসঙ্গে জিতব এবং একসঙ্গে হারব।’
গুজরাট অধিনায়ক বলেন, ‘আমি হারের পর অজুহাত দিতে যাচ্ছি না। সিএসকে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। আমি এখানে বিশেষ করে সাই-এর (সুদর্শন) নাম নিতে চাই। এই স্তরে এত উজ্জ্বলভাবে খেলা সহজ নয়। আমরা খেলোয়াড়দের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। আমরা সবাইকেই সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দলের সবার থেকে সেরাটা বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিটা ক্রিকেটারের ভালো খেলার কৃতিত্ব তাদের নিজেদের।’
ধোনির সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্কটা কারও অজানা নয়। নিজের খারাপ সময়ে বার বার পাশে পেয়েছেন ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ককে। ফাইনালে গুরুর কাছে হারের পরও তার প্রতি একরাশ মুগ্ধতার মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন পান্ডিয়া, ‘আমি ওর জন্য খুব খুশি। ভাগ্যে এটাই লেখা ছিল। যদি হারতে হতো, তবে ওর বিরুদ্ধেই হারা ভালো। ভালো কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে ঘটে এবং ও আমার পরিচিত সেরা মানুষদের একজন। আমি জানি যে, ঈশ্বর দয়ালু এবং তিনি আমার প্রতিও দয়ালু। কিন্তু আজ ছিল ওর (ধোনি ও সিএসকের জয়) রাত।’