চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় থমকে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়তে থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার এর চাপও দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ সামলাতে দ্রুত ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণ জরুরি বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। এব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ধীরগতিতে এগুচ্ছে কাজ।

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে জাহাজ এসেছিলো ২ হাজার ৮৭৫ টি। আর সবশেষ অর্থবছরে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭৬৪টিতে। আমদানি-রপ্তানি বাড়তে থাকায় প্রতি বছর জাহাজ, কার্গো এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বাড়তি চাপ সামাল দেয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৪ সালে সরকার নগরীর হালিশহর উপকূলে নতুন জেগে উঠা চর সহ প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। যাতে ভিড়তে পারবে যে কোন দৈর্ঘ্যরে জাহাজ।

২০১৬ সালে জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালট্যান্সি এবং বাংলাদেশের কে এস কনসালটেন্টস লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। সরকার প্রথমে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ভাবলেও পরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করার সিন্ধান্ত নেয়। ফলে আবারো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করতে হয়। যে কারণে পিছিয়ে গেছে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন, দ্রুত সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে শুরু হবে বাস্তবায়নের কাজ।

তবে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে দ্রুতই ‘বে টার্মিনাল’ বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারিরা। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান আয়তন ও সক্ষমতায় কয়েকগুণ বড় ‘বে-টার্মিনাল’ চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।