নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে আগামী দিনে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও তুরস্ক। বুধবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সভায় যোগদান করেন। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়নে তার দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পলক বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ধর্মীয় ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবছর আমাদের অর্থনৈতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। চার বছরে হাইটেক পার্কগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ এসেছে। সম্প্রতি ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড নামের একটি চীনা জায়ান্ট বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায় বাংলাদেশ-তুরস্ক কারিগরি ইনস্টিটিউট (বিটিটিআই) উদ্বোধনের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশ আরও কাজ করতে চায়। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, ‘বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সারা দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেটর স্থাপন করছে। এরমধ্যে পাঁচটি পার্কে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তুরস্ক সরকারের দাতা সংস্থা টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির বাংলাদেশের সমন্বয়ক ড. ইসমাইল গুনদৌদু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।