স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ৮ বছর পর আবারো জাতীয় দলে ফেরেন রনি তালুকদার। এরপর নজরকাড়া পারফর্ম করার সুবাধে ডাক পেয়েছিলেন ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও। ঘরের মাঠে সাইড বেঞ্চে বসে সময় কাটালেও ফিরতি সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার।
তবে সেখানে ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হন এই ওপেনার। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তার জন্য দারুণ ব্যাপার ছিল। সম্প্রতি আলাপকালে ইংল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন তিনি।
‘খুবই ভালো ছিল সবকিছু মিলিয়ে। কারণ আমাদের দল ভালো খেলেছে। দল যখন ভালো করে তখন সবকিছু এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর এমন একটা দলের সাথে ট্যুর করা সত্যিই ভালো লাগার বিষয়।’
অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৪ বল মোকাবেলা করে রনি করেন মোটে ৪ রান। এমন পারফরম্যান্স তার জন্য নিশ্চয়ই হতাশাজনক ছিল। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। দেখেন যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই বিষয়টা সমান, পারফর্ম করতে না পারলে খারাপ লাগাটা থেকে যায়। চেষ্টা থাকবে পরবর্তীতে কিভাবে ভালো করা যায়। যখন ওপেনিং নেমেছিলাম তখন একটা মেসেজ নিয়েই নেমেছিলাম। আমার যে কাজ সেটা করার চেষ্টা করেছি। তো এখানে কখনও ব্যর্থ হবো, কখনও আবার ভালো করব। ভালো খেলার চেষ্টা করছি। কিভাবে ভালো খেলতে হয়, এটা নিয়ে আরো কাজ করবো।’
ওয়ানডেতে দলের হয়ে কেবল ১টি ম্যাচ খেলেছেন রনি। সামনেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেই দলে কি নিজেকে দেখছেন কি না এই ব্যাটার, এমন প্রশ্নের উত্তরে রনি বলেন, ‘দেখেন বিশ্বকাপের আগে কিন্তু অনেক ম্যাচই রয়েছে আমাদের। আফগানিস্তান, এশিয়া কাপ সুতরাং আগে এসব ম্যাচ নিয়েই ভাবছি, চিন্তা করছি। আর ভালো খেলতে চাই প্রতিটা ম্যাচেই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে। আমারও স্বপ্ন রয়েছে বিশ্বকাপ খেলার। কিন্তু আমি এখন সম্পূর্ণ মনোযোগ রাখছি আফগানিস্তান সিরিজেই।’
জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার বিদেশ সফরে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তার পরিবারও। রনি বলেন, ‘মা তো সবসময় খুশি আমাকে নিয়ে। ওনার (মা) আশীর্বাদ তো সবসময় আমার সাথেই আছে। আমার পরিবার সবসময় ভালো খারাপ সর্বদা আমাকে সাপোর্ট করে আসছে। সর্বোচ্চ সাপোর্টাই দিচ্ছে, কিভাবে আমি ভালো খেলতে পারব।’
অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রশংসা করে রনি বলেন, ‘কোচ অধিনায়কের চাওয়া একই ছিল। আমি যেন আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে পারি। প্রেশার যেন না নেয়, আর এখন দলে যারা খেলতেছে সবাই প্রেশারলেস। কারণ কোনো ক্রিকেটারের তেমন প্রেশার নাই, এজন্য সবাই ভালো খেলতেছে।’